3:22 pm , June 1, 2019
কলাপাড়া প্রতিবেদক ॥ পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী স¤্রাট কর্মকার ও শ্বাশুড়ি সাধনা রানী কর্মকারের বালিশ চাপায় খুন হয়েছে সাত মাসের অন্তঃসত্তা দোলা রানী কর্মকার। গত ২৪ মে শেষ বিকালে দোলাকে হত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গেওড়না গলায় জড়িয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে গতকাল কলাপাড়া প্রেসক্লাবে বেলা ১১টায় সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত ভাবে সাংবাদিকদের জানান নিহতের চাচা খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত বিএসসি শিক্ষক অমল কৃষ্ণ কর্মকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ও স¤্রাট কর্মকার দোলা কর্মকাকে প্রেমের সম্পর্ক তৈরীকরে দুই বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। এ বিষয়ে একাধিক সালিস হওয়ার পর স¤্রাট কিছু দিন নির্যাতন বন্ধ করে। কিছু দিন পর মাদকাসক্ত স¤্রাট এবং তার মা সাধনার রানীসহ পরিবারের ন্যান্যরা আবার নির্যাতন শুরু করে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে। এক পর্যায়ে দোলা অন্তঃসত্তা হয়ে পরলে শুরু হয় মানষিক নির্যাতন।
সর্বশেষ গত ২৪ মে স¤্রাট কর্মকার দোলার গর্ভবতী দোলার পেটে লাঠি মারে। পেট ব্যাথায় দোলা ডাক-চিৎকার করলে স¤্রাট ও তার মা সাধনা রানী কর্মকার বালিশ চাপা দিয়ে দোলাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরে দোলার গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরে অবস্থা বেগতি দেখে কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে যাওয়ার আগেই দোলার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামিয়ে রাখে। একজন নারী গর্ভবতী হওয়া অবস্থায় তার অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা করে আত্মহত্যা করতে পারে এমন নজিড় বাংলাদেশে নেই। তবে স¤্রাটের পরিবারা দোলা আত্মহত্যা করেছে বলে অপ প্রচার চালায় চলে সাংবাদিক সম্মেলনে দোলার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দোলার বাবা শ্যামল কর্মকার, মা কল্পনা রানী কর্মকার, দোলার চাচাতো ভাই প্রবীর কর্মকার এবং অপু কর্মকারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এ ঘটনায় দোলার মা কল্পনা রানী কর্মকার বাদি হয়ে গত ৩০ মে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।