ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের দুই পাড়ে আটকা পড়েছে প্রায় ৩শ’ যানবাহন ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের দুই পাড়ে আটকা পড়েছে প্রায় ৩শ’ যানবাহন - ajkerparibartan.com
ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের দুই পাড়ে আটকা পড়েছে প্রায় ৩শ’ যানবাহন

2:50 pm , May 29, 2019

ভোলা অফিস ॥ জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে ফেরিচলাচলের কারণে ভোলা- লক্ষ্মীপুর রুটের দুইপাড়ে প্রায় ৩শ’ যানবাহন আটকা পড়েছে। যাত্রীবাহি বাস ও কাঁচামালের ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করলেও গত ৫/৬দিন ধরে আটকে থাকা ভাড়ি যানবাহনের চালক শ্রমিকরা পড়েছে বিপাকে। এদিকে আকেট পড়া যানবাহন চালকদের জিম্মি করে একটি সিন্ডিকেট অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ করেছেন চালক- শ্রমিকরা। ফেরির ট্রিপ বাড়িয়ে ঈদের আগেই আটকে থাকা যানবাহনগুলো পারাপারের দাবি সংশ্লিষ্টদের। ভোলা- লক্ষ্মীপুর রুটে ৩টি ফেরি চলাচল করলেও গত ২৭ মে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফেরি কনকচাঁপা ও কলমিলতা একদিনের জন্য সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। ওইদিন কৃষাণি নামের একটি ফেরি দিয়ে বাস-ট্রাক পারাপার করায় ঘাটের দুই পাড়ে প্রায় ৩শ’ যানবাহন আটকা পড়ে। মঙ্গলবার (২৮ মে) পুনরায় ৩টি ফেরিতে যানবাহন পারাপার শুরু করলেও দুইপাড়ের জটলা কমাতে পারে নি। ইলিশা ঘাটে পাঁচদিন আটকে থাকা কাভার্ডভ্যান চালক আঃ রশিদ জানিয়েছেন, প্রচ- গরমের মধ্যে ঘাটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রতিটি ফেরি দৈনিক ২বার যাওয়া আসার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা করছে না। যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলে সোমবার কনকচাপা ও কলমিলতা ফেরিটি বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার ফেরি দুটি চালু হলেও ধীরগতিতে যাওয়া আসা করছে। প্রতিদিন যেখানে ২ থেকে আড়াইশ গাড়ি পারাপার করার কথা রয়েছে সেখানে গত কয়েকদিন ধরে এক থেকে দেড়শ’ গাড়ি পারাপার হচ্ছে। এতে ঘাটে আটকা পড়া গাড়ির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আবদুর রহিম নামের অপর এক ট্রাক চালক জানিয়েছেন, কাঁচামালের গাড়ি পারাপারের নামে ঘাটের একটি সিন্ডিকেট ৫শ’ থেকে একজাহার টাকা অতিরিক্ত নিয়ে গরু ও ডাব বোঝাই গাড়িগুলো আগে পার করছে। এছাড়া ঈদ মৌসুম হওয়ায় ভোলা থেকে খালি যাত্রীবাহি বাস ঢাকা- চট্টগ্রাম যাচ্ছে। এসব গাড়ি অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যানের মতো ভাড়ি গাড়িগুলোর লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ইলিশা ঘাটে থাকা খাওয়ার ভালোব্যবস্থা না থাকায় রোজার মধ্যে চালক শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। মিনি ট্রাকের চালক (গাড়ি নং ৪১১০) আবদুল মতিন জানান, তার গাড়ির ফেরিভাড়া ১হাজার ৭৫০ টাকা। কিন্তু ফেরির ভাড়া আদায়কারী ২ হাজার ১০০ টাকা নিয়ে রশিদ দিয়েছেন ১ হাজার ৭৫০ টাকার। একই ভাবে কাভার্ডভ্যানের (গাড়ি নং ৫৩৯২) হেলপার মিজান অভিযোগ করেন তারকাছ থেকে ফেরি ভাড়া বাবদ ৩ হাজার ৫শ টাকা নিয়ে রশিদ দিয়েছেন ৩ হাজার ৫০ টাকার। প্রতিটি গাড়ি থেকেই ফেরিভাড়া বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন চালক- শ্রমিকরা। ভোলা- লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিসের ম্যানেজার কে এম এমরান জানিয়েছেন, মতিরহাট চ্যানেল, রহমতখালী চ্যানেল ও ঘাটের কাছে নাব্য সংকটের কারণে ২/৩ ঘন্টা ফেরি আটকে থাকে। এতে জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে ফেরি চলাচল করতে হয়। একারণে উভয় পাড়ে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যায়। এছাড়া আগে দূরতত্ব ২৭ কিলোমিটার এখন তা ৩২ কিলোমিটার হয়েছে। বেশিরভাগ সময় ফেরি ঘুরে ঘুরে আসতে হয়। তাছাড়া গরু ও কাঁচামালের গাড়ি আগে পার করতে হয়। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয় বলেন, ঘাটের টোল আদায়ের জন্য সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ ইজারাদার নিয়োগ দেয়ায় স্থানীয় কিছু লোক সম্পৃক্ত হয়েছে। এর পর থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। ফেরিভাড়া বাবদ অতিরিক্ত আদায়ের বিষয় তিনি অস্বীকার করেন। ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে প্রতিদিন ৩টি রাউন্ড ট্রিপে ছোটবড় ২৫০টি গাড়ি পারাপার করার কথা থাকলেও গত ২ দিনে পারাপার হয়েছে এর অর্ধেকের চেয়েও কম।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT