2:46 pm , May 27, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই ঈদ-উল-ফিতর। আর এ ঈদকে ঘিরে নিরাপত্তায় এরইমধ্যে তৎরতা শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে ঈদ বাজারকে ঘিরে মহানগর পুলিশের কর্মকান্ড গত কয়েক বছরের থেকে বেশ দৃশ্যমান রয়েছে। যদিও যানবাহন বেড়ে যাওয়ায় যানজট নিরসনে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। তারপরও পার্কিংবিহীন বাজার ব্যবস্থাপনায় যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সড়কের পাশে যানবাহন কোনভাবেই থাকতে দিচ্ছে না তারা। যদিও ওইসব গাড়ির জন্য সিটি করপোরেশনের সহায়তায় নগরের মূল ব্যবসায়ীক এলাকাগুলোতে ঈদ উপলক্ষে পার্কিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এছাড়াও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা, নির্বিঘেœ ঈদ বাজারে চলাচলের জন্য ফলপট্টি থেকে চকবাজার ও কাটপট্টি রোড যান চলাচল বন্ধ রাখার মতো পদক্ষেপও হাতে নিয়েছে পুলিশ বাহিনী। এসব কাজ মনিটরিং করাসহ আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখছেন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা। এমনকি খোদ নগর পুলিশের কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার) ও নিজে মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখছেন এসব।
এদিকে নৌ-রুট ও সড়ক পথে আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে কমপক্ষে পনেরো লক্ষাধিক মানুষ বরিশালে আসবেন। লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টুর মতে শুধু নৌ-পথেই বরিশালে ১২ লাখের মতো মানুষ আসবেন আর গোটা দক্ষিনাঞ্চলের হিসেবটা এর কয়েকগুন।
এই বৃহৎ সংখ্যক ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রশাসন ইতিমধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি এরইমধ্যে মাদক কারবারি, ছিনতাইকারী চক্র, অজ্ঞান পার্টি, প্রতারকসহ দুস্কৃতিকারীদের রুখতে ফন্দি এটেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যারমধ্য দিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে ঈদকে ঘিরে মাথাচারা দিয়ে ওঠা অপরাধীদের।
বরিশাল সদর নৌ পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স প্রদানের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। যদিও এখনো ফোর্স পাইনি; তবে নিয়মিত নিরাপত্তার অংশ হিসেবে আমরা কাজ করছি। নৌ-পথে মাদক যেন আসতে না পারে, ছিনতাইকারী চক্র বা মলম বাহিনী যেন সক্রিয় হয়ে না উঠতে পারে সেজন্য নৌ-পুলিশের অভিযান আগে থেকেই চলমান রয়েছে।
ওদিকে ঈদ ও ঈদ বাজারকে ঘিরে বাড়তি মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরইমধ্যে নগরের রুপাতলী ও নথুল্লাবাদ এলাকায় গুরুত্বপূর্ন দুটি বাস টার্মিনাল ও নদী বন্দরকে ঘিরে র‌্যাব তাদের কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সার্বিক বিষয়ে পুলিশের মুখপাত্র ও সহকারী কমিশনার নাছির উদ্দিন মল্লিক জানান, পুলিশের সবগুলো ইউনিট একসাথে কাজ করছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা টিম দায়িত্ব পালন করছে। শপিংমল, ব্যবসা প্রধান এলাকাসহ নগরের অলি-গলিতে আমাদের সদস্যরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। আশা করি বরিশালবাসী নির্বিঘ্নে ঈদ কাটাতে পারবে, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।
এদিকে বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানিয়েছেন, আমরা ইতিমধ্যে সমন্বয় সভা করেছি। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি এবার ঘরমুখো মানুষকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে পারবো।