3:16 pm , May 26, 2019
খান রুবেল ॥ ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে নগরীতে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে যানজট। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ততম সদর রোড সহ আশপাশের সড়কে যানজট লেগেই থাকছে। এর অন্যতম কারন হয়ে দাড়িয়েছে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা (ইজিবাইক)। ছোট এই শহরে একদিকে অতিরিক্ত সংখ্যক ইজিবাইকের চলাচল তার ওপর অদক্ষ এবং অপেশাদার চালকের কারনে মোড়ে মোড়ে জটলার সৃষ্টি হচ্ছে। যা নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগকে। সেই সাথে ঘটছে ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনাও। ফলে অটোরিক্সা নামক ইজিবাইক নগরবাসির যন্ত্রনার অন্যতম কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের যানবাহন লাইসেন্স শাখা সূত্রে জানাগেছে, ৫৮ গর্ব কিলোমিটার নগরীতে লাইসেন্সধারী অটোরিক্সার সংখ্যা ২ হাজার ৬১০ টি। তবে বাস্তব পরিসংখ্যান বলছে বৈধ এবং অবৈধ মিলিয়ে ইজিবাকের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়াবে। যার দুই তৃতিয়াংশই চলাচল করছে নগরীর সদর রোড সহ প্রধান সড়ক গুলোতে। অভিযোগ রয়েছে একটি টোকেন জাল করে তা দিয়ে ৪ থেকে ৫টি পর্যন্ত অটোরিক্সা চলছে। যার কারনে বৈধ এবং অবৈধ অটোরিক্সাগুলো চিহ্নিত করাটা কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। নগর ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশনের তালিকা অনুযায়ী শহরের প্রধান সড়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে লঞ্চ ঘাট থেকে ফজলুল হক এভিনিউ হয়ে সদর রোড এবং জেলখানার মোড় থেকে বিএম কলেজের সামনে হয়ে নথুল্লাবাদ পর্যন্ত।
অপরদিকে নথুল্লাবাদ থেকে আমতলার মোড় হয়ে রূপাতলী বাস টার্মিনাল এবং লঞ্চঘাট হতে রূপাতলী এবং নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল। প্রতিটি সড়কই ব্যস্ত থাকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। এর প্রতিটি সড়কই বর্তমানে ইজিবাইক এর দখলে। এর সাথে বিআরটিএ’র লাইসেন্সধারী গ্যাস চালিত সিএনজি ও অটোটেম্পু রয়েছে আরো প্রায় ৭শ টি। যা শুধুমাত্র নগরীর বিভিন্ন সড়কেই ছরিয়ে ছিটিয়ে চলাচল করে থাকে। যে কারনে শহরের প্রধান সড়ক গুলোতেও যানজট এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিনত হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নগরীর অন্যান্য সড়ক গুলোর তুলনায় ফজলুল হক এভিনিউ ও সদর রোডে যানজট বেশি হয়। বিশেষ করে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যার পরে দুটি সড়কে যানজট বেশি হয়। যার কারন দুটি সময়ে লঞ্চ যাত্রী এবং কর্মজীবীদের পদচারনা। সেই সাথে যানজটের বড় একটি কারন হিসেবে অটোরিক্সাকেই চিহ্নিত করছেন ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।
নগর ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই-প্রশাসন) সামসুল আলম বলেন, উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশের আলোকে আমরা সদর রোড এলাকায় অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি নগর আরটিসি’র সিদ্ধান্তে পুনরায় অটো চলাচল শুরু হয়েছে। যার কারনে শহরে যানবাহনের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। তার মধ্যে ঈদ ঘনিয়ে আসায় শুধু নগরী সহ বরিশালের বাইরে থেকেও মানুষ আসছে নগরীতে কেনাকাটা করার জন্য। তাই যানজট একটু বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে অটোরিক্সা নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসা গেলে যানজট নিরসন কিছুটা হলেও সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা।