ঈদে নৌ-পথে বাল্কহেড ও সড়কে ট্রাক বন্ধ রাখার নির্দেশ ঈদে নৌ-পথে বাল্কহেড ও সড়কে ট্রাক বন্ধ রাখার নির্দেশ - ajkerparibartan.com
ঈদে নৌ-পথে বাল্কহেড ও সড়কে ট্রাক বন্ধ রাখার নির্দেশ

3:08 pm , May 23, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে ঈদের আগে পরে ১৪ দিন নৌ পথে সকল ধরনের বালুবাহী জাহাজ এবং বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সাথে তল্লাশীর নামে মাঝ নদীতে লঞ্চ থামিয়ে যাত্রী হয়রানী থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে কোস্টগার্ডকে। একইভাবে সড়ক পথে ঈদে আগে পড়ে ৬ দিন যাতে ট্রাক চলাচল করতে না পেরে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি না করার জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদভাবে ঈদ উদযাপন নিশ্চিতকরণে কর্মপন্থা গ্রহনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বিশেষ সমন্বয় সভার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান উক্ত দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সমন্বয় সভায় অংশগ্রহন করেন বাস ও লঞ্চ মালিক সমিতি, মেট্রোপলিটন, জেলা ও নৌ-পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, আসনার কমান্ডার, বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, ঈদে পরিবহন সেক্টরে বেশি নজর রাখতে হবে। সড়ক বা নৌ পথে কোন প্রকার প্রতিযোগিতা, অতিরিক্ত যাত্রীবহন, লঞ্চ ও বাসের ছাড়ে যাত্রী না ওঠানো এবং ভাড়া বৃদ্ধি না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, ঈদের আগে এবং পরে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘœ করতে পরিবহন সেক্টরের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। ঈদকে পুঁজি করে কোন ভাবেই লঞ্চ বা বাসের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করা চলবে না। প্রতিযোগিতা করে লঞ্চ বাস চালানো বা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না।
এ বিষয়গুলো মনিটরিং করতে পুলিশ, নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম নিয়মিত কাজ করবে। তাছাড়া নৌ বন্দরকে শৃঙ্খলাপূর্ণ রাখতে স্কাউট সদস্যরা কাজ করবে। তাই এতে লঞ্চ ও বাস মালিকদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক পরিবহন শ্রমিকদের শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, লঞ্চ বা বাসে নারীরা যাতে হয়রানীর শিকার না হয় সে দিকটাতে খেয়াল রাখতে হবে। নারীদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন কিংবা বাসে তোলার নামে তাদের হাত ধরে টানা হেচড়া করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের হুশিয়ারী দিয়েছেন তিনি।
এদিকে বিশেষ সমন্বয় সভায় যাত্রীবাহী নৌযান মালিকদের সংগঠন যাপ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মানুষের আগমন ঘটবে নৌ পথে। যার মধ্যে শুধুমাত্র ১০ থেকে ১২ লাখ মানুষ আসবে বরিশালে।
এতো সংখ্যক যাত্রীদের সার্ভিস দিতে হলো বিশেষ সার্ভিস দেয়ার পাশাপাশি লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতেই হবে। প্রতিটি লঞ্চে চার থেকে পাঁচ হাজার করে যাত্রী পরিবহন করা হবে। অন্যথায় সঠিক সময়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌছে দেয়া সম্ভব হবে না। অবশ্য অতিরিক্ত যাত্রীবহন করা হলেও আমরা লোড লাইন অতিক্রম করিনা। লোড লাইন অতিক্রম করা লঞ্চগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেন সাইদুর রহমান রিন্টু।
এদিকে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও নৌ নিটার উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, ঈদে আগে বরিশাল নদী বন্দরে চাপ কম থাকে। এখান থেকে চাপ বৃদ্ধি পায় ঈদের পরে। যে কারনে ঈদের আগে এবং পরে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নৌ বন্দরে তাবু টানিয়ে চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
লঞ্চ মালিকদের পাশাপাশি টার্মিনাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নৌ বন্দরের ওই কর্মকর্তা বলেন, বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে সরাসরি ২৪টি নৌযান চলাচল করছে। এ লঞ্চ ঘাট দেয়ার জন্য পন্টুন মাত্র ৩টি। তাই ঈদ মৌসুমে একটি লঞ্চের পেছনে আরেকটি লঞ্চ থামিয়ে পরে যাত্রী ওঠা-নামা করাতে হচ্ছে। যা দুর্ঘটনার কারন হয়ে দাড়াচ্ছে। এভাবে যাত্রী ওঠানামা করতে গিয়ে ইতিপূর্বে যাত্রীদের নদীতে পড়ে দুর্ঘটনার ঘটনাও রয়েছে। তাই এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি অনুরোধ জানান নৌ পুলিশ ও নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ সমন্বয় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল হাসান, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহমেদ, বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT