3:23 pm , May 22, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গতকাল বাংলাদেশ কৃষক খেতমজুর সমিতির উদ্যোগে বিভিন্ন দাবীতে শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক খেতমজুর সমিতি, শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি মোঃ লিটন হাওলাদার। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক খেতমজুর সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ জলিলুর রহমান, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজিজুর রহমান খোকন, জেলা রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক নৃপেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক জাফর আহমেদ তালুকদার, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ আইয়ুব হোসেন, শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৩ মে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’র আঘাতে শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম বিশেষ করে চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর ঘরের চালা, অবকাঠামো (বেড়া) সমূহ উড়িয়ে নিয়ে যায়। বিধ্বস্ত বাড়িঘরের মানুষগুলো খোলা আকাশে নিচে কিংবা কোনরকমের ছাউনি দিয়ে দিনাতিপাত করছেন। এছাড়াও শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের বাংলাদেশ কৃষক খেতমজুর সমিতির সদস্যদের মধ্যে অনেক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ পুরুষ-মহিলা রয়েছেন। তারা উপার্জন করতে অক্ষম। অপরের উপর নির্ভরশীল। তাঁরা বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না। বিভিন্ন কারণে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন অনেক বিধবা, শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তান, মা, বাবা, তাদের জন্য সমাবেশ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সাহায্য প্রদানের অনুরোধ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের অসহায় গরীব মানুষদের পূনঃর্বাসনের লক্ষ্যে ইউপি কার্যালয় থেকে বিভিন্ন রকম ভাতা, কাবিখা, কাবিটা, কর্মসৃজন প্রকল্প, পানীয় জলের জন্য গভীর কলকূপ স্থাপন এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল স্থাপন করাসহ এ সমস্ত অসহায় মানুষদের জন্য সমিতির পক্ষ থেকে সাহায্যের আবেদন করা হয়। সমিতির দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে Ñ ১. ঘূর্ণিঝড় ‘ফনী’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ ২০টি পরিবারের পূনর্বাসন করতে হবে। ২. প্রকৃত ভূমিহীনদের খাস জমি দিতে হবে। ৩. নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন করতে হবে। ৪. ধানের মনপ্রতি মূল্য ১২০০ টাকা দিতে হবে। ৫. বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বয়স্ক ভাতা, দুঃস্থ ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, কাবিখা, কাবিটা, ভিজিডি, ভিজিএফ প্রদান করতে হবে। ৬. শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নে সরকারি শস্য ক্রয়কেন্দ্র চালু করতে হবে। ৭. দক্ষিণ চরআইচা জনতার হাট থেকে পশ্চিমে বেরীবাঁধ পর্যন্ত রাস্তা পাকা করতে হবে। ৮. শায়েস্তাবাদে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল চালু করতে হবে। বাংলাদেশ কৃষক খেতমজুর সমিতি শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন কমিটির পক্ষ থেকে উপরোক্ত দাবীসমূহ বাস্তবায়নের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তথা দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়। পরে শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মুন্না’র নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান দাবীসমূহ বাস্তবায়নে আন্তরিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।