3:06 pm , May 20, 2019
ভা-ারিয়া প্রতিবেদক ॥ একাদশ শ্রেণীতে অনলাইনে ভর্তি আবেদন নিয়ে ভান্ডারিয়ায় অর্ধশত শিক্ষার্থীকে নিয়ে টানা হেচড়া চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভান্ডারিয়া আল গাজ্জালি ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিপিএম দাখিল মাদ্রাসা, ধাওয়া বাইতুল আমান দাখিল মাদ্রাসা এবং ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীদের অজান্তে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করে তাদের বেকায়দায় ফেলেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
আল গায্যালি ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ মাহমুদ এর দাবি এ আবেদনের সঙ্গে তার মাদ্রাসার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তার প্রতিষ্ঠানকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়মূলকভাবে কে বা কারা ওই সব শিক্ষার্থীদের তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে এসএমএস এর মাধ্যমে আবেদন করেছে তা তার জানা নেই বলে তিনি দাবি করেন। ওই সকল শিক্ষার্থীরা পাশ্ববর্তি বিপিএম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল। বিপিএম দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে ২০১৯ সালের দাখিল পরীক্ষার এমসিকিউ উত্তর প্রশ্নের পরীক্ষার সময় ওইসব পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষার্থী অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ৪টি সেট কোডের পরিবর্তে শুধুমাত্র একটি সেটকোড ভরাট করে প্রশ্নের উত্তর দেয় এ অনিয়মের বিষয়টি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
এ ব্যপারে বিপিএম দাখিল মাদ্রাসার সুপার ভান্ডারিয়া-২ কেন্দ্রের সাবেক কেন্দ্র সচিবক মো. আমির হোসেন এ ব্যপারে কিছু জানেন না বলে জানান। সেট কোডের অনিয়মের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল আলম বলেন, এ ব্যপারে শিক্ষার্থীদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জহিরুল আলম জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার ওপর তদন্তভার দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।