3:03 pm , May 20, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বৈশাখ শেষে জৈষ্ঠের প্রথম সপ্তার পার হলো আজ। কাল বৈশাখী ঝড়,দমকা হাওয়া, ভারী বর্ষন কোনটিই এবার এখনো ঘটেনি। ঘুর্নিঝড় ফনির প্রভাবে বৃষ্টির পড়ে এখন চলছে তাপ প্রবাহ। সর্বত্র খড় তাপে পুড়ছে প্রকৃতি। তাই এক পশলা বৃষ্টির জন্য হাহাকার চারিদিকে। প্রচন্ড গরমে নাভিশ্বাস জনমনে। এমন অবস্থায় আবহাওয়া বিভাগ বলছে আগামী ২৪ ঘন্টার পূর্ভাবাসে বরিশালে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কোন সম্ভাবনা নেই। নগরী ঘুরে দেখা গেছে ব্যস্ততম সড়ক থাকে প্রায় পুরোপুরি ফাকা। সকালে সদর রোডে কিছুটা ভীর দেখা গেলেও বেলা ১২টার পূর্বেই নগরী ফাকা হয়ে যাচ্ছে। ঈদ বাজারেও তেমন ভীর নেই। দোকানীরা জানান, গরমের তীব্রতা বেশী হওয়ায় ক্রেতরা খুবই কম আসছে। প্রতি বছর এমন সময় ভীর আরম্ভ হলেও এবার দিনের বেলায় ভীর খুবই কম। নগরীর একাধিক বাসিন্দা বলেন,রোজা রেখে প্রচন্ড গরমে অধিকাংশ ব্যক্তিই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। রমজানের পূর্বে পানি পান সহ ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেয়ে গরম কিছুটা নিবারন করা যেত। কিন্তু গরমে রোজাদাররা বেশী ক্লান্ত হচ্ছে। সূর্যের আলো অত্যন্ত প্রখর হওয়ায় ঘরের বাইরে বের হওয়া দায়। প্রখর রোদের কারনে সড়ক উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। পাশাপাশি যাবাহন থেকে নির্গত তাপে অন্যান্য স্থানের তুলনায় সড়কে কয়েকগুন বেশী তাপমাত্র বিরাজ করছে নগরীতে। এমন অবস্থা বিরাজ করছে প্রায় মাসব্যাপী। খোজ নিয়ে জানা গেছে,নগরীর শ্রমজীবি বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছে। রিক্সা-ভ্যানগাড়ী চালক, দৈনিক মজুরী ভিত্তিক শ্রমিকরা একবেলা কাজ করছেন। তাদের অর্ধেকের বেশী সংখ্যক শ্রমিক কোন কাজেই নামছেন না। গরমের কারনে হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধসহ সকল বয়সী রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকরা সকলকে রোদ এড়িয়ে চলা ও পর্যাপ্ত পানি এবং পানিয় জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী গতকাল বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সর্বনিন্ম তাপমাত্র ছিলো ২৮.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ডিউটি অবজারভার মোঃ রুবেল জানান, আগামী ২/১ দিনে বরিশালে বৃষ্টিপাত হওয়ার কোন পূর্ভাবাস নেই । তবে ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য স্থানে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে।