ধান বিক্রি করে খুশি কৃষকরা ধান বিক্রি করে খুশি কৃষকরা - ajkerparibartan.com
ধান বিক্রি করে খুশি কৃষকরা

3:02 pm , May 20, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারাদেশের ন্যায় বরিশালেও কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বরিশাল সদর, গৌরনদী, মেহেন্দিগঞ্জ, বাবুগঞ্জ ও মুলাদী সহ অন্যান্য উপজেলায় এ অভিযান শুরু করেন খাদ্য বিভাগ। যেসব কৃষকের কাছে কার্ড রয়েছে সেইসব কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি প্রতি মণ এক হাজার চল্লিশ টাকা দরে ধান ক্রয় করছে খাদ্য বিভাগ। এতে করে বাজারের থেকে দ্বিগুন মূল্যে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা। এদিকে বরিশাল সদর উপজেলায় ধান-চাল সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত এ উপজেলায় দু’জন কৃষক তিন টন করে মোট ছয় টন ধন বিক্রি করেছেন। বরিশাল সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, বরিশাল সদর উপজেলায় মোট ১৪১ টন ধান এবং ৩শ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন রয়েছে। সে লক্ষ্যেই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে যে তালিকা প্রেরন করা হয়েছে সেভাবেই কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষকের কাছ থেকে বাজারের থেকে পাঁচ ভাগ আদ্রতা কমে চিটা ও ময়লা মুক্ত ১৪ ভাগ আদ্রতার ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। তার পরে আবার বাজারের থেকে প্রায় দ্বিগুনের বেশি মূল্য পাচ্ছেন কৃষকরা। যে কারনে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনেই বেশ সারা পাওয়া গেছে। বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা অবনী মোহন দাস বলেন, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে মোট ৫ হাজার ১৯ টন ধান ও ১৬ হাজার ৩০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলায় ১ হাজার ৫৮৭ টন ধান ও ৪ হাজার ৪৫১ টন চাল সংগ্রহ করা হবে। প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৩৬ টাকা নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে খাদ্য মন্ত্রনালয় থেকে। সে অনুযায়ী সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে এ ধান-চাল সংগ্রহ করছেন তারা। এদিকে সরাসরি ধান বিক্রি করতে পেরে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। বরিশাল সদর উপজেলায় কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনেই ধান বিক্রি করতে আসা জাগুয়া ইউনিয়নের আস্তাকাঠি গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল হাওলাদার বলেন, সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান-চাল সংগ্রহ করায় আমরা বাজারের থেকে দামও বেশি পাচ্ছি। তিনি বলেন, গ্রামে পাইকাররা মোটা-চিকন ভেদে প্রতি মন ধানের মূল্য চার থেকে পাঁচশ টাকা দরে কিনছে। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে প্রতি মণ ধানে এক হাজার ৪০ টাকা করে পাচ্ছি। ফলে কৃষকদের মধ্যে থেকে হতাশাও কেটে যাচ্ছে। অপর কৃষক গৌতম রায় বলেন, গত তিন বছর ধরে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করছি। সরকারিভাবে ধানের দর ২৬ টাকা ও চালের দর কেজি প্রতি ৩৬ টাকা নির্ধারণ করায় কৃষকদের মুখে একটু হলেও হাসি ফুটছে। কেননা যে দর আশা করেছি তা না পেলেও সরকারের এ পদক্ষেপের কারণে লোকসানে পড়ার সম্ভাবনা নেই। বরং কিছুটা লাভই হচ্ছে কৃষকদের। আর তাই বাজারে না গিয়ে খাদ্য বিভাগে এ পর্যন্ত ২০ মণ ধান বিক্রি করেছি। আরো ২০ মণ ধান বিক্রি করার কথা জানান ওই কৃষক।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT