3:16 pm , May 16, 2019
কুয়াকাটা প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর মহিপুর থানা হাজত থেকে গালায় ফাঁস লাগানো ইয়াবাসহ আটক ওমর ফারুক রায়হান (২০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্বার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত এগারটা পঞ্চাশ মিনিটে বাথরুমের ভ্যন্টিলেটর থেকে তার লাশ উদ্বার করা হয়েছে বলে জানায় থানা পুলিশ। মৃত রায়হান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের তবিরকাঠী এলাকার রফিকুল ইসলামের পুত্র। বরিশাল-কুয়াকাটা মহা সড়কের চলাচলকারী ইমন পরিবহন বাসের একজন হেলপার।
মহিপুর থানা পুলিশ জানায়, বুধবার রাত রাত নয়টা ৪৫মিনিটে কুয়াকাটা জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে থেকে ১৩পিচ ইয়াবাসহ রায়হানকে আটক করে মহিপুর থানা পুলিশের এসআই সাইদুল। রাত এগারটা ৪৫ মিনিটে সকলের অগোচরে পড়নে লুঙ্গি দিয়ে থানা হাজতের ভেন্টিলেটরের সাথে গলায় ফাস দেয় রায়হান। ওই রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল আহমেদ, নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ও কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ কুমার দাস এবং কুয়াকাটা বিশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল আফিসার মনিরুজ্জামানের উপস্থিতে উপস্থিতে লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানা পুলিশের দাবী, রায়হানের নামে বাকেরগজ্ঞ, ঝালকাঠি, মহিপুর থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
ময়না তদন্ত শেষে রায়হানের লাশ তার মা রেবা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি রেবা বেগম। কুয়াকাটা বিশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান জানান, গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ থানা হাজত থেকে উদ্বার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা বলে মনে হয়েছে। নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ও কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ কুমার দাস বলেন, নিহতের গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মাইনুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদদেস্যর একটি তদন্দ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আাগমী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন অবহেলা পরিলক্ষিত হলে কঠোর আইননুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।