3:04 pm , May 15, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চরমোনাইতে নিজ ঘরে স্ত্রী ও পরকিয়া প্রেমিক কর্তৃক দলিল লেখক রেজাউল করিম রিয়াজ (৪০) হত্যাকান্ডের এক মাস হতে চলেছে। কিন্তু এখনো গ্রেফতার হয়নি পলাতক পরকিয়া প্রেমিক সহ দুই আসামী। এমনকি নিহত দলিল লেখক এর বাড়ি থেকে জব্দকৃত মালামালের সুনির্দিষ্ট তালিকাও বাদি পক্ষের কাছে প্রকাশ করেনি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উদাসিনতা ও অনভিজ্ঞতার করনেই রিয়াজের পলাতক দুই ঘাতক মাসুম ও তার সহকারী হাইল্যা নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে বাদী পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। জানাগেছে, সম্পত্তি আত্মসাত ও সার্বিক দিক থেকে সুখে থাকতে গত ১৮ এপ্রিল পরকিয়া প্রেমিক ও তার সহকারীকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় চরমোনাই’র বুখাইনগরের বাসিন্দা দলিল লেখক রেজাউল করিম রিয়াজকে। এই ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে পুলিশ আটক করে রিয়াজের স্ত্রী লিজাকে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে লিজা। পরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিয়াজের স্ত্রী লিজাকে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন করা হয়। এদিকে হত্যার দায় স্বীকারের পাশাপাশি হত্যাকান্ডের সহযোগী হিসেবে পরকিয়া প্রেমিক মামুন ও হাইল্যার নাম প্রকাশ করে। এরা দু’জন মিলেই জবাই করে হত্যা করে দলিল লেখক রিয়াজকে। হত্যার পরে রাতের আধারে পালিয়ে যায় তারা। এদের মধ্যে মামুন নিহত দলিল লেখক এর সহযোগী ছিলো। কিন্তু ঘটনার প্রায় এক মাস হতে চললেও পুলিশ এখন পর্যন্ত ওই দুই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারেনি। বাদী পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে, ঘটনার পরে নিহতের ঘর থেকে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ অনেক মালামাল জব্দ করেছে। কিন্তু বাদী পক্ষের কাছে এখনো জব্দ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আদৌ সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা। অভিযোগ উঠেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিয়াজ হত্যা মামলা নিয়ে কালক্ষেপন করছেন। তার অনভিজ্ঞতা এবং গাফেলতির কারনে পালাতক আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। এমনকি আইও’র বিরুদ্ধে আসামী পক্ষের সাথে গোপন সক্ষতা গড়ে ওঠার অভিযোগও করা হয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বশির এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া বক্তব্য জানতে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।