3:11 pm , May 12, 2019
খ্রীস্টান কলোনীর মৃত জন হাওলাদারের ছেলে। স্বপনও ওই কলোনীর বাসিন্দা। হেনরী স্বপন জানান, ঘটনার দিন আমি আমার কক্ষে লেখালেখির কাজ করছিলাম। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে বাসার জানালায় দাড়িয়ে যুবক কণ্ঠে অজ্ঞাত দু’ব্যক্তি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পাশাপাশি স্বগোত্রীয় (খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বি) লোকদের বিরুদ্ধে লেখালেখি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। অন্যথায় অঙ্গহানী ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় অজ্ঞাত ওই দুই ব্যক্তি। তিনি বলেন, এ সময়ে আমাকে কলোনীর জায়গা থেকে উৎখাত ও বরিশাল ত্যাগের জন্য বলা হয়। আমি ভীত হয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করলে হুমকিদাতারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর থেকে আমি আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ জানান, মুক্তমনা লেখকদের নিরাপত্তা প্রদান সকলের দায়িত্ব। এটি উদ্বেগের বিষয় যে হেনরী স্বপনের বাসায় গিয়ে কেউ হুমকি দিয়েছে। আমি এর নিন্দা জানাই। পাশাপাশি এ ধরণের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
হেনরী স্বপন দীর্ঘদিন যাবৎ তার লেখনীর মাধ্যমে সমাজের নানান অসঙ্গতী, অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছেন। যেখানে বাদ পরেনি স্বসম্প্রদায়, স্নেহভাজন, আস্থাভাজনসহ কেউই। তার এই সাহসিকতায় তিনি সম্প্রতি গোটা দেশব্যাপী বেশ আলোচনায় আসেন। এরপর থেকেই ঘনিষ্টজনদের একটি মহল তার বিরোধীতা করে। এমনকি বিরোধীতাকারীরা নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে এ নিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন। বিষয়টি লিখিতভাবে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান হেনরী স্বপন। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বরিশালের মুক্তমনা ৬ জনকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি প্রদান করা হয়। যে ঘটনায় ৬ জনের পক্ষে হেনরী স্বপন বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন।