রাজাপুরে খাল খননের মেশিনে অগ্নিসংযোগ রাজাপুরে খাল খননের মেশিনে অগ্নিসংযোগ - ajkerparibartan.com
রাজাপুরে খাল খননের মেশিনে অগ্নিসংযোগ

3:10 pm , April 15, 2019

রাজাপুর প্রতিবেদক ॥ রাজাপুরের রোলা গ্রামে রোববার ভোররাতে খাল খননের এক্সক্যাভেটর মেশিনে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই মেশিনের হাইড্রোলিক কন্ট্রোলারসহ ইঞ্জিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পুড়ে ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এক্সক্যাভেটর মেশিনের চালক খোরশেদ আলম জানান, রোলা গ্রামের খাড়াকান্দা এলাকার খাল খননের কাজ শেষ করে রাতে ওই খালের পাড়ে মেশিন রাখা ছিলো। রাতে দুর্বৃত্তরা মেশিনের পেছনের ইঞ্জিনে কাপড়ে দাহ্যপদার্থ দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এতে এতে ওই মেশিনের হাইড্রোলিক কন্ট্রোলারসহ ইঞ্জিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পুড়ে ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, খাল খননকালে স্থানীয় নাজেম মোল্লার ছেলে সোবহান মোল্লা ১ লাখ টাকা চাদা দাবি করে এক্সক্যাভেটর মেশিনের গ্লাস ভাঙচুর করে এবং রেইঞ্জ ও গ্রীজসহ মালামাল খালে ফেলে দিয়ে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলো। এছাড়া খাল খননকৃত মাটি ধানের জমিতে দুই পাশে সমানভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও চাপ দিয়ে আসছিলো। এসব ঘটনার জের ধরে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে অভিযোগ চালকের। জানা গেছে, বিএডিসির বরিশাল বিভাগ ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাজাপুর উপজেলার মোসেল হাওলাদারের খাল পুনঃখনন কাজে বিএপিসির এক্সক্যাভেটর মেশিন ভাড়া এনে ঠিকাদার আসলাম হোসেন লিটু এ খনন কাজ করে আসছিলো। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোবহান মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মেশিনের গ্লাস ভাঙচুর, রেইঞ্জ ও গ্রীজসহ মালামাল খালে ফেলে দেয়া এবং চাদা দাবির অভিযোগ একদম মিথ্যা। এমনি তিনি সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বেরও হন না। কাজ শুরুর পর দেখা শোনার জন্য বললে, লিটু মেম্বর বলেছেন প্রয়োজন নেই, এরপর তিনি আর ওই দিকে যাননি। রাজাপুর থানার এসআই হানিফ মিয়া জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT