নবগ্রাম রোড-চৌমাথা লেকটি পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে নবগ্রাম রোড-চৌমাথা লেকটি পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে - ajkerparibartan.com
নবগ্রাম রোড-চৌমাথা লেকটি পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে

3:09 pm , April 15, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমাথা হাতেম আলী কলেজ লেকটি ক্রমশ পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে বলে শংকিত এলাকাবাসী। প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে লেকটির কথিত সৌন্দর্য বর্ধনের কাজও অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পাশাপাশি লেকটি ও এর কিনারায় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টিও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ ভুলতে বসেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ফলে এ লেকটির পাড়ের নির্মল বায়ু ইতোমধ্যে দুষিত হতে শুরু করেছে। অথচ এ লেকটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ অজু-গোসল করেন। এমনকি জেলার তাবলীগ জামাতের মারকাজ মসজিদের বিপুল সংখ্যক মুসুল্লীও এখানে প্রতিদিন ওজু গোসলের জন্য আসছেন।
কিন্তু লেকটির পানি ক্রমশ ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, বরিশাল Ñ ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত ট্রাক সমুহ প্রতিদিনই লেকটির পূর্ব পাড়ে অবৈধভাবে পার্ক করে ধোয়া মোছার কাজ করছে। ঐসব ট্রাকের তেল ময়লা ড্রেন দিয়ে লেকটির পানিতে মিশছে। অথচ সাবেক মেয়র ট্রাক পার্কিং বন্ধে এখানে সিটি করপোরেশনের নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি লেকটির চার ধারে ভ্রমনে আসা অনেক বিবেকহীন নারী-পুরুষ প্রতিদিন পলিব্যাগ সহ নানা ধরনের অপচনশীল বর্জ্য লেকটির পানিতে ফেলছে। সেসব পলিব্যাগ দিনের পর দিন লেকটির পানিতে ভাসছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে তা লেকটির তলায় ডুবে গিয়ে পানিতে অক্সিজেন চলাচলও ব্যহত করছে। ফলে খুব শীঘ্রই ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাটির এ লেক থেকে দূর্গন্ধ ছড়াবারও আশংকা প্রবল হচ্ছে। লেকটির পশ্চিম পাড়ের রাস্তায় জঙ্গল ক্রমশ বড় হচ্ছে। এসব দেখার এখন আর কেউ নেই। অথচ ইতোপূর্বে লেকটির চারিধার পরিচ্ছন্ন রাখা সহ এর পানি থেকে ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন অপসারনে সিটি করপোরেশনের একজন দৈনিক মজুরী ভিত্তিক শ্রমিক নিয়োজিত ছিল। মাস কয়েক আগে ঐ শ্রমিককে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তার স্থলে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেয়া হলেও তার দেখা পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। এমনকি ২২ নম্বর ওয়ার্ডে যে নতুন সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে সে কোথায় কি করছে তাও কেউ জানে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনের কনজার্ভেন্সি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। তবে তার এ বক্তব্যের পড়ে পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। উল্লেখ্য বরিশাল সিটি করপেরেশন ও জেলা পরিষদের তহবিল থেকে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর প্রানকেন্দ্রের এ লেকটির সৌন্দর্য বর্ধনের কাজটি শুরু করা হলেও তা এখনো শেষ হয়নি। লেকটির উত্তর পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ গত পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। পশ্চিম পাড়ের সড়কটি এ নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোর জীর্ণ দশার স্বাক্ষ্য বহন করছে। অথচ এ সড়কটি উন্নয়নে একটি প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশনকে ৩০ লাখ টাকা অগাম নগর কর পরিশোধ করেছে আরো প্রায় ৫ বছর আগে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT