3:14 pm , April 10, 2019
বাবুগঞ্জ প্রতিবেদক ॥ বাবুগঞ্জে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে কৃষকের জমি জোরপূর্বক দখল করে বসতঘর র্নিমানের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের রামপট্রি গ্রামে ঢালী বাড়ি। এ দিকে অসহায় কৃষক বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও ন্যায় বিচার না পেয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। জানা যায় ওই গ্রামের মোঃ ইউনুস আলী হাওলাদার পৈত্রিক ওয়ারিস সূত্রে ৩৩ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। ১৯৫২সালে জবেদ আলী মামলার বাদী ইউনুস আলীর চাচা হোসেন আলীর কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। জমি দলিল করার সময় ইউনুস আলীর পিতা নাজেম আলীর নাম অর্ন্তভুর্ক্ত করে ১একর ৩৪শতাংশ জমি দাবি করে আসছে। এ ঘটনায় মৃত্য নাজেম আলীর পুত্র ইউনুস আলী ২০১৬ সালে বরিশাল সহকারি জজ আদালতে ওই দলিলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্বেও মৃত্যু জবেদ আলীর পুত্র রহম আলী হাওলাদার গংরা স্থানীয় শাহেআলমের সাথে আতাত করে শাহেআলম তার ভারাটে বাহিনী নিয়ে পাকা ঘর নির্মানের চেষ্ঠা চালায়। জমিতে শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে ইউনুস আলী হাওলাদার বাদী হয়ে ১৪ ফের্রুয়ারী বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহেআলম ও সোহেল ঢালীকে আসামী করে ফৌজধারী কার্যবিধী আইনে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মামলা করেন। দায়ের করার মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত এয়ারপোর্ট থানার ওসিকে তদন্ত মোতাবেক আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করেন। এয়ারপোর্ট থানার ওসি মামলাটি তদন্তের জন্য এ,এসআই আঃ সালামকে দায়িত্ব দিলে ১৬ ফ্রেরুয়ারী বিরোধী জমির উপর নিষেধজ্ঞা জারি করে উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন। কিছু দিন নির্মান কাজ বন্ধ থাকার পর গত ৪এপ্রিল শাহেআলম ঢালী ও তার লোকজন উক্ত জমিতে জোরপূর্বক ঘর নিমার্ন শুরু করেন।এ দিকে কৃষক ইউনুস আলী পুলিশের দারস্থ হলেও শুধুমাত্র একদিনও থানার এ,এসআই আঃ সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহোালম গংকে ঘর নির্মান করতে নিষেধ করতে আসেননি উল্টো তিনি মামলার বাদীকে ১৮৮ধারা মামলা করার পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে কৃষক ইউনুস আলী হাওলাদার জানান জমিটি আমার পৈত্রিক। জবেদআলী আমার চাচার অংশের কিছু জমি ক্রয় করেন। কিন্তু আমার পিতা কোন দিন জবেদ আলীর কাছে জমি বিক্রি করেনি। জবেদ আলীর ওয়ারিশরা আমার জমি দাবি করলে ওই ভুয়া দলিলের সত্যতা প্রমানে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।