3:14 pm , April 10, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোগান্তির আরেক নাম সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস। যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকেও কর্মকর্তার দেখা পাচ্ছেন না সেবা গ্রহিতারা। তহসিলদারদের মনগড়া নিয়ম আর ফাঁকিবাজির মধ্যে দিয়ে সরকারের এই সেবামুলক প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। এমন বাস্তব প্রমান মিলেছে গতকাল বুধবার। কোন কারন বা পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই দিনভর কার্যালয়টি তালাবদ্ধ করে উধাও হয়ে যান দায়িত্বরত দুই তহসিলদার। ফলে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে অর্ধশতাধিক সেবা গ্রহিতাদের। প্রত্যক্ষদর্শী কাজী মো. ইলিয়াস নামের একজন গ্রাহক জানান, ‘সকাল ১০টার দিকে জমির খাজনা পরিশোধের জন্য তিনি কাশিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। কিন্তু গিয়েই দেখতে পান বিশাল দুটি তালা ঝুলছে অমি অফিসের প্রধান দরজায়। অফিসটি খোলার আশায় তিনি অপেক্ষা করেন দুপুর ১টা পর্যন্ত। কিন্তু ততক্ষনেও অফিসে এসে পৌছাতে পারেননি দায়িত্বে থাকা তহসিলদার কিংবা সহকারী তহসিলদার। ফলে বিমুখ হয়ে চলে যান তিনি। পুনরায় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খাজনা পরিশোধ করতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। কিন্তু তখনও দরজায় তালা দেয়া ধেকে ফিরে আসেন তিনি। শুধুমাত্র ইলিয়াস নামের ওই ব্যক্তিই নন, এমন অভিযোগে করেছেন মো. বজলুর রশিদ, নূরে আলম, মো. রফিকুল ও মো. নাসিম সহ আরো একাধীক সেবা বঞ্চিত এলাকাবাসি। স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, ‘কাশিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার হলেন আব্দুর রহমান। তার সাথে রয়েছেন একজন সহকারী তহসিলদার। এরা দু’জনই নিজেদের মনগড়া আইনে ভূমি অফিসটি পরিচালনা করেন থাকে। যার দরুন সপ্তাহের বেশিরভাগ সময়েই তারা বন্ধ রাখেন ভূমি অফিসের কার্যক্রম। তাদের মনে হলে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আর মনে না চাইলে করেন না। সেবা বঞ্চিতরা বলেন, ‘একজন তহসিলদার দাপ্তরিক কাজে জেলা কিংবা উপজেলা অফিসে যেতেই পারেন। কিন্তু সে জন্য অফিসের কার্যক্রম পুরো দিন বন্ধ থাকতে হবে এটা কেমন নিয়ম ? তহসিলদার না থাকলে সহকারী তহসিলদারতো অবশ্যই থাকবেন। কিন্তু তা না করে অফিস খোলা তারিখেও তারা রহস্যজনকভাবে তা বন্ধ রাখছেন। স্থানীয়রা বলছেন, ‘বুধবার সারা দিনেও কাশিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তালা খোলা হয়নি। কারন কর্মকর্তারা কেউ অফিসেই আসেননি। অফিসটি বন্ধ থাকায় গতকাল একদিনেই অন্তত ৬০ জনের মত সেবা গ্রহিতা সেবা না পেয়ে ফিরে গেছেন। কাশিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের এমন আচারন সরকারের ভামুর্তি খুন্ন করার একটি অন্যতম কারন হতে পারে বলে মনে করছেন সেবা বঞ্চিতরা। তবে অফিস বন্ধ রাখার কারন জানতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।