2:54 pm , March 31, 2019

ববি প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছে। এছাড়াও ভিসি কর্তৃক দুঃখ প্রকাশের কাগজের বিজ্ঞপ্তি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কবিতা, গান, স্লোগানে ভিসির পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় “এক দফা এক দাবি, ভিসি তুই কবে যাবি; চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে, গেলাম রাজাকার ; ভি ফর ভিসি তুই রাজাকার তুই রাজাকার ইত্যাদি স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে, প্রখর খড়তাপে অন্দোলনরত শিক্ষার্থী আল আমিন হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানোর জন্য ববি’র এ্যাম্বুলেন্সসহ কোন যানবাহন ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তখন বিকল্প যানবাহনে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই শিক্ষার্থী। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় এসে জড়ো হয়। বেলা সাড়ে১২ টায় এক মৌন মিছিলের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। এ ময় তারা মুখে কালো কাপড় বেধে মিছিল করে। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে জিরো পয়েন্ট যায়। সেখান থেকে প্রশাসনিক ভবনের নিচে এসে শেষ হয়। পরে তারা প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষন পর খড়তাপের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আল আমিন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সিফাত আহমেদ বলেন, “এই ব্যতিক্রমী মৌনমিছিল এর মাধ্যমে আমরা ভিসির জঘন্য কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং ঘৃণা প্রকাশ করেছি । আশা করি তিনি পদত্যাগ করে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইবে।“ আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী তনুশ্রী হালদার বলেন , “ভিসি আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তার প্রতিবাদে আমরা এই মৌন মিছিল করেছি এবং এর মাধ্যমে আমরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি।“
উল্লেখ্য যে, গত ২৬ এ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শিক্ষার্থীদেরকে বাদ দিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জেলা প্রশাসকদের নিয়ে চা-চক্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়। এরই জের ধরে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ওইদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিইউডিএস এর এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে একটি বিতর্কিত মন্তব্যর কারনে নতুন উদ্যমে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এক জরুরী নোটিশের মাধ্যমে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল থেকেও সবাইকে চলে যাওয়ার নোটিস দেওয়া হয়। নোটিশ উপেক্ষা করে এখন পর্যন্ত হলে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নোটিশ প্রত্যাখ্যান করে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।