সাবেক স্বামীর সাথে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় বর্তমান স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা সাবেক স্বামীর সাথে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় বর্তমান স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা - ajkerparibartan.com
সাবেক স্বামীর সাথে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় বর্তমান স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

3:14 pm , March 30, 2019

চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ সাবেক স্বামীর সাথে গোপন সম্পর্কে বাঁধা দেয়ায় ক্ষুদ্ধ স্ত্রী পপি সুলতানার মামলায় ফেঁসে গেছেন নিরাপরাধ স্বামী সাদ্দাম হোসেন। পপি সুলতানা আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবা গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে। অপরদিকে সাদ্দাম হোসেন একই গ্রামের আবদুল হক সর্দারের ছেলে। স্ত্রী পপি সুলতানার মামলায় সাদ্দাম হোসেন এখন জেলে আছেন। জানাগেছে, গত ৬ বছর আগে একই গ্রামের রতন রাঢীর ছেলে মো. হাসানের সাথে পপি সুলতানার বিয়ে হয়। ওই ঘরে পপির একটি কন্যা সন্তান আছে। বিয়ের কয়েক বছর মধ্যে স্থাণীয় প্রতিবেশি যুবক সাদ্দাম হোসেনের সাথে পপি গোপন সম্পর্ক গড়ে উঠে। যার জের ধরে সাবেক স্বামীকে বর্তমান রেখে গত ১৮ সালের আগস্ট মাসে সাদ্দামকে বিয়ে করেন। এই বিয়ে হলেও কাবিন করা হয়নি। বিয়ের পর স্ত্রী পপিকে নিয়ে ঢাকার লালবাগে বসবাস শুরু করেন সাদ্দাম। সেখানে সাদ্দাম কারখানায় কাজ করতো। স্বামীর ব্যস্ততার সুযোগে পপি সাবেক স্বামী হাসানের সাথে গোপন সম্পর্ক বজায় রাখেন। স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি আচঁকতে পেরে সাদ্দাম ঢাকার বাসা গুছিয়ে স্ত্রী পপিকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। গত ২৩ জানুয়ারী স্ত্রী পপি তাঁর সাবেক স্বামীকে নিয়ে খেজুরগাছিয়ার মেঘনা পাড়ে নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। বিষয়টি আচঁ করতে পেরে স্বামী সাদ্দাম হোসেন ওই বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী পপি ও তার সাবেক স্বামীকে আটক করেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।স্বামী স্ত্রীর ঘটনায় জড়িয়ে পরেন স্থানীয় তিন যুবক বেলায়েত হোসেন তোতা, শওকত মাঝি এবং হানিফ মাঝি। এই তিন যুবক পপির সাথে আতাঁত করে তাদের দাম্পত্যকলহের বিষয়টি মিমাংসার নাম করে স্ত্রী পপিকে দিয়ে সাদ্দামকে তালাক দিয়ে ফয়সালা করে দিবেন এমন আস্বাস দিয়ে স্ত্রী পপিকে খোরপোষ ও দেন মোহর বাবদ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন স্ত্রী পপি ও ওই তিন যুবক। ওই তিন যুবকদের মধ্যস্থায় স্ত্রী পপিকে দিয়ে স্বামী সাদ্দামকে তালাক নিয়ে দেয়া হয়েছে মর্মে ওই যুবকরা টাকা হাতিয়ে নিলেও স্ত্রী পপি সাদ্দামকে দেয়া তালাকের কাগজ চাইলে ওই যুবকরা তালবাহানা শুরু করেন।পরে সাদ্দাম জানতে পারেন ওই যুবকরা তার স্ত্রী পপির সাথে আতত করে সাদ্দামের সাথে প্রতারনা করে তার থেকে নিকাহ রেজিষ্ট্রারে স্বাক্ষর নেন। জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে এই নিকাহ নিবন্ধন করা হয়। নিকাহ নিবন্ধন ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে পপি বর্তমান স্বামী সাদ্দামের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য মারধরের অপরাধে সাদ্দাম ও তার বাবা আব্দুল হক সর্দারকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাদ্দাম এখন জেলে আছেন।এই ঘটনায় পপি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। অভিযোগ প্রসঙ্গে বেলায়েত হোসেন তোতা বলেন, আমারা বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টা করেছি। তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT