ভা-ারিয়ায় উচ্চ শব্দে মাইকিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা ভা-ারিয়ায় উচ্চ শব্দে মাইকিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা - ajkerparibartan.com
ভা-ারিয়ায় উচ্চ শব্দে মাইকিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা

3:31 pm , March 29, 2019

ভা-ারিয়া প্রতিবেদক ॥ ভা-ারিয়ায় প্রশাসনের মৌখিক নিদের্শ উপেক্ষা করে চলছে উচ্চ শব্দে মাইকিং। আর বন্ধে সরকারি নিয়মানুযায়ী শব্দ ব্যবহারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে পথচারি সহ বাজারের ব্যবসায়ী, আবাসিক বসাবাড়ির এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একে চৈত্রের প্রভাব, তার উপর উচ্চ শব্দ এ দুইএ মিলে মানুষের জীবন প্রায় ওষ্ঠাগত। অনুসন্ধানে জানাগেছে, সম্প্রতি ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা কিছু বেসরকারি ক্লিনিক এর পক্ষ থেকে“ আর নয় ঢাকা, আর নয় বরিশাল, আর নয় ভারত এখন সব ধরণের চিকিৎসা অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা করা হয় এখন ভা-ারিয়ায় শ্লোগানে (বড় বড় ডিগ্রির নাম ব্যবহার করে) চলছে অবাধে মাইকিং। ভূক্ত ভোগিদের বাধা মানছে না মাইক ব্যবহার কারীরা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে আলাপ কালে ঐতিহ্যবাহী ভা-ারিয়া বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বাচ্চু জানান, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এবং পিছনে রয়েছে দুইটি মাইকের দোকান। তাদের উচ্চ শব্দে মাইকিংএর কারনে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় মাইক ব্যবহার কারিদের শব্দ কমিয়ে বাজানোর কথা জানালে তা থেকে যায় অধরা। বাজার ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আলাপ কালে মো. বাচ্চু মিয়া, শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ জানান এত উচ্চ শব্দে মাইকিংএর কারনে তারা অত্তিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। পৌর শহরের মধ্যে উত্তর দিকে দুটি কেজি স্কুল, প্রায় ১০টির মত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মাদ্রাসা,কলেজে সকাল স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সময় অধিকাংশ কোমল মতি শিশু শিক্ষার্থী ও তাদের সাথে থাকা অভিভাবকদের কান চেঁপে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য হাটতে দেখা গেছে। তাদের বাড়ন শুনছে না এরা। প্রবীণ বি এনপি নেতা আতিকুর রহমান দিলু আকন জানান, তার বাজারের বাসার অতি সংলগ্ন একটি মাইকের দোকানে অদিক রাত পর্যন্ত চলে এর ব্যবহার। তিনি বেশ কয়েকবার বেশ জোড়ে শোড়ে নিশেধ করলেও তা জেন তাদের কানেই তোলেনা। শব্দে রাতে তার বাসার বাচ্চাদের পড়াশুনারও ক্ষতি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই সকল প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পিছনে রয়েছে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জার ফলে এ সব মাইক দোকানিদের কাছে এসকল সাধারন মানুষের কথার কোন গুরুত্বই নেই। যদিও সরকারি নিয়মে ৪০ডেসিবল পর্যন্ত মানুষের শ্রবনের ধারন ক্ষমতা থাকে। এর চেয়ে বেশি ৪৫/৫০ডেসিবল শব্দ ব্যবহারে ক্ষতির পরিমান কম হলেও সেটা নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকে। যদি ৬০/৭০/৮০ ডেসিবল হয় তখন ষিয়টি কেমন হয়। কিন্তু মাইকের দোকানিরা এ নিয়ন সম্পর্কে অনেকেই অবহিত নয়। এক মাইক দোকানি প্রশাসনের মৌখিক ভাবে বলার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বুধবার ইউএনও অফিসের থেকে তাদের কম শব্দে মাইক ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কামারের লোহার দোকানের মত জেই সেই। এদিকে এ বিষয়ে এক সৌজন্য আলাপে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল আলম বলেন, এই সমস্যা আইন দিয়ে কত সময় ঠেকানো সম্ভব। যদি আমরা প্রত্যেকে যার যার অবস্থানে সচেতন না হই। তবুও এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য আমারা খুব শিগ্রয়ী আইনের আওতায় আনা হবে এবং পাশা পাশি যে যার অবস্থান থেকে তাদের নৈতিক দ্বায়িত্বের অবস্থান থেকে এটি প্রতিরোধেরও আহবানও জানান।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT