3:08 pm , March 27, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে নগরীতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ। অভিযানের প্রথম দিনেই উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এর উপস্থিতিতে ২টি বাস, ১টি এ্যাম্বুলেন্স ও ১টি মাহেন্দ্র আটক করেছে তারা। এছাড়া কাগজপত্রে ত্রুটি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার অভিযোগে মামলা হয়েছে শতাধীক। বুধবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় বাস ও মাহেন্দ্রা মালিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত’র ঘটনায় গত ২৫ মার্চ নগরীর সার্কিট হাউজ সভাকক্ষে ‘নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। নগর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) সামসুল আলম জানান, গত ২২ মার্চ বরিশাল-বানারীপাড়া আঞ্চলিক সড়কে বাস ও মাহেন্দ্র’র মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হয়। এই ঘটনায় ২৫ মার্চ সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে বরিশাল সিটি মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক সহ সাংবাদিক ও বাস মালিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় পুলিশ কমিশনার এর দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার থেকে নগর জুড়ে বিশেষ অভিযান শুরু করে নগর ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সকাল ১১টার দিকে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খায়রুল আলম এর উপস্থিতিতে নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় উপ-পুলিশ কমিশনার নিজে বরিশাল-পটুয়াখালী রুটে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাসের কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স এবং ফিটনেস দেখেন। এসময় কাগজপত্র ও ফিটনেস না থাকায় ২টি যাত্রীবাহী বাস, ১টি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স ও ১টি মাহেন্দ্র (অটো টেম্পু) আটক করে রেকারে বাজিয়ে পুলিশ লাইন্সএ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তাছাড়া একই স্থানে দাড়িয়ে চালক লাইসেন্স ও কাগজপত্র সহ বিভিন্ন ত্রুটির কারনে বিআরটিসি বাস, অন্যান্য যাত্রীবাহী পরিবহন, ট্রাক, মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে ৬৬টি মামলা করা হয়। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযানে আড়াই ঘন্টার অভিযানে শতাধিক মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খায়রুল আলম।