3:18 pm , March 25, 2019

শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া ॥ মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনী সহিংসতার জের ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক এক সন্তানের জনক জনি তালুকদার (২৭) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকরা। গতকাল সোমবার সকালে জনি তালুকদারকে উপজেলা কবুতরখালী গ্রামের বাড়ির সম্মুখ রাস্তায় প্রতিপক্ষ নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা তাকে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আহত জনিকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পথে পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়ায় বসে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নিহত জনি উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি ও গুলিশাখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত হাতেম আলী তালুদারের পুত্র। সে উপজেলা আ’লীগ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনের (আনারস প্রতীক) কর্মী ছিলো বলে জানাগেছে। জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জনি তালুকদার সোমবার সকালে বসত বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ নৌকা মার্কার কর্মীরা তাকে ধাওয়া করে মাঠের মধ্যে ফেলে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। বরিশালে নেয়া পথে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভান্ডারিয়ার কাছাকাছি পৌছলে জনি মারা যায়। এ বিষয় স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ নৌকা প্রার্থী হোসাইন মোশারফ সাকু, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাকিল আহমেদ নওরোজ, বড়মাছুয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ও টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপনের নির্দেশে তার কর্মীকে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এব্যাপারে নৌকার প্রার্থী মোশারেফ সাকু চিকিৎসাধীন থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া না গেলেও তার প্যানেলের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাকিল আহমেদ নওরোজ তিনি ও তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে হেয় ও আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাণিত হইয়া প্রতিপক্ষ প্রার্থী আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। মঠবাড়িয়া থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, জনিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় সন্দেহ জনক একজনকে আটক করা হয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির গতকাল সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এঘটনায় তদন্ত চলছে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য গত ২৩ মার্চ শনিবার রাতে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ও ১০নং হলতা গুলিসাখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোসহ ১৯ জন আহত হয়। এঘটনার জের ধরে নৌকার সমর্থকরা জনির উপর হামলা চালায় বলে এলাকাবাসী জানায়।