3:32 pm , March 21, 2019
শামীম আহমেদ ॥ হাইপার টেনশন,ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুরের রহমানিয়া কিরাতুল কোরআন মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোডিং’র প্রতিষ্টাতা-পরিচালক ও এতিমদের ভরসাস্থল হিসেবে খ্যাতি পাওয়া নুরুল ইসলাম ফিরোজী। তবে তিনি অসুস্থ হয়েও আগামী ২৯ মার্চ নির্মাধীন মাদ্রাসাটির ছাঁদ ঢালাইয়ের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে সারা দিন চিন্তা করেন এতিমদের থাকার স্থানটি আমি যেন মরে যাওয়ার আগে করে দিয়ে যেতে পারি যে আল্লাহ। তিনি আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও শংঙ্কা এখন কাটেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার তলা ভিত সম্বলিত ভবনটির জন্য জমি ক্রয়, পিলার স্থাপন সহ সেফটি টেংকির কাজ উঠার সিড়ি সমাপ্তির হয়েছে। তবে সরকার প্রদত্ত টাকার সিংহ ভাগ ইতি মধ্যে জমি ক্রয় সহ সম্পন্ন হওয়া নির্মান কাজের পিছনেই ব্যয় হয়ে গেছে। ইতি মধ্যে ছাদ ঢালাইয়ের জন্য সেন্টারিং’র কাজ সমাপ্ত হলেও এখন পুরো কেনা হয়নি রড ও সিমেন্ট। এজন্যই চিন্তায় রয়েছে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। তারা আরো বলেন, মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা-পরিচালক হঠাৎ করে অসুস্থ গয়ে পড়ার কারনে কাজ একটু পিছনে পড়েছে। তবে ফিরোজী সাহেব হাল ছাড়েনি। তিনি ডেইলি বাংলাদেশকে জানিয়েছেন,আমি যদি হাসপাতালে থাকলেও আগামী ২৯ মার্চই মাদ্রাসার নির্মাধীন ভবনের ছাঁদ ঢালাই হবেই। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম বলেন,এতিম শিশুদের বসবাস উপযোগী করে গড়ে তুলতেও আরো অনেক অর্থের প্রয়োজন। আর এজন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের দানশীল ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসা উচিত বলে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন এ মাদ্রাসায় প্রায় শতাধিক এতিম শিশু খুব কস্ট করে মোহাম্মদপুরে আমারাদেরই প্রতিষ্ঠিত মহিলা মাদ্রাসায় অবস্থান করছে। অতি দূরত তাদের মূল মাদ্রাসায় হন্তান্তর করা দরকার। আর এজন্য মাদ্রাসার ভবন নির্মান কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়াজন। শেবাচিমে বেডে শুয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা-পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী বলেন,মাদ্রাসাটির জমি ও ভবন নির্মানের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ (এমপি)। মনে করি ছিলাম এই টাকা দিয়েছে কাজ সম্পূর্ন হবে। কিন্তু ৪ তলা ফাউন্ডেশন নেওয়ায় এবং কি জমি ও নির্মাধীন ভবনের নিচে ফাউন্ডেশন নিতেই টাকা চলে গেছে। তাই কাজের মাঝ পথে পড়েছি টেনশনে। দিন রাত সারা দিন শুধু মাথায় টেনশন কাজ করছে। বাকি কাজ কি ভাবে শেষ করবো তা জানি না। আর এই টেনশনেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তাতে কি হাল ছাড়িনি। ২৯ মার্চ ছাঁদ ঢালাইয় দেওয়ার চিন্তা করছি শুয়ে শুয়ে। বাকিটা আল্লাহ্র উপরে। সমাজের দানশীল ব্যাক্তিরা যদি মাদ্রাসাটির উন্নয়নের কাজের দিকে একটু এগিয়ে না আসলে মাঝ পথে কাজটি এতো চিন্তা করতে হতো না। প্রসঙ্গত ৪ বছর পূরবে কোনো সরকারি বেসরকারি অনুদান ছাড়াই অত্র মাদরাসা ও এতিমখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় শতাধিক এতিম শিশু মাদ্রাসাটিতে বিনামুল্যে থাকা খাওয়ার পাশাপাশি দ্বীনি ইসলামি শিক্ষা গ্রহন করছে । এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে পত্র পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র। এরপরে তিনি স্বশরীরে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দল্লাহ,সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোঃ ইউনুস সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করে এতিম শিশুদের দূরাবস্থা দেখে ব্যাথিত হন এবং জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এই অনুদান অপ্রতুল বলে মনে করেন এলাকাবাসী।