শিশু হাসপাতাল নির্মানে ধীরগতিতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর ক্ষোভ আড়াইশ’ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে সদর হাসপাতাল শিশু হাসপাতাল নির্মানে ধীরগতিতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর ক্ষোভ আড়াইশ’ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে সদর হাসপাতাল - ajkerparibartan.com
শিশু হাসপাতাল নির্মানে ধীরগতিতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর ক্ষোভ আড়াইশ’ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে সদর হাসপাতাল

3:23 pm , March 20, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে নির্মানাধীন দুই শত শয্যা বিশিষ্ট শহীদ সুকান্ত বাবু শিশু হাসপাতাল নির্মান কাজে ধীরগতির কারনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান-এমপি। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর আমানতগঞ্জ বক্ষব্যাধি হাসপাতাল সংলগ্নে শিশু হাসপাতালের নির্মান কাজ পরিদর্শনে গিয়ে ঠিকাদার ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদেও প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ তিনি। তবে একশ’ শয্যা বিশিষ্ট বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শান পরিদর্শনে গিয়ে রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসকদের উপস্থিতি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে ভোর রাতে নৌ পথে নগরীতে আসেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান-এমপি। পরে সেখান থেকে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে সাথে নিয়ে নগরীর কালিবাড়ি রোডে মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে জেনারেল (সদর) হাসপাতাল ও পরে আমানতগঞ্জ বক্ষব্যাধী হাসপাতাল সংলগ্ন নির্মানাধীন দুইশ শয্যার শিশু হাসপাতাল নির্মান কাজের পরিদর্শন করেন। এ সময় শিশু হাসপাতাল নির্মান কাজে ধীরগতী দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। ২০১৭ সালে সালে শুরু হওয়া এই হাসপাতাল ভবন নির্মানের মেয়াদ শেষ হলেও ২০ ভাগ কাজও শেষ না করায় ঠিকাদার ও গণপূর্ত বিভাগকে ভৎসনা করেন তিনি। পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান-এমপি সাংবাদিকদের বলেন, ১৫ আগস্ট শহীদ সুকান্ত বাবু’র নামে ২ একর জমিতে ১০ তলা ফাউন্ডেশনে ৪ তলা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতাল নির্মান কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু নির্মান কাজের মেয়াদ শেষ পর্যায় এলেও কাজের কোন অগ্রগতি নেই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশু হাসপাতালটি যেখানে নির্মান হচ্ছে সেখানে একটি পুকুর ছিলো। নানা জটিলতার কারনে সেটা ভরাট করতে এক বছরের মত সময় লেগেছে। তাছাড়া পূর্বে যে প্লান ছিলো সেখানে পার্কিং এর জায়গা ছিল না। তাই পরে আবার প্লান পরিবর্তন করা হয়। ঠিকাদার ও গণপূর্ত বিভাগের দাবী অনুযায়ী এসব কারনেই নির্মান কাজ সম্পন্ন করতে বিল¤œ হয়েছে। তবে আমি চীফ আর্কিটেক এর সাথে কথা বলেছি। যাতে দ্রুত শিশু হাসপাতাল নির্মান কাজ সম্পন্ন করা হয় সে জন্য। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং চিকিৎসকদের উপস্থিতি সন্তোষজনক। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে রোগীদের কাছ থেকেও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে চক্ষু বিভাগের চিকিৎসকের একটি পদ শূন্য রয়েছে। সেখানে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হবে। সদর হাসপাতালটি একশ’ থেকে আড়াইশ শয্যায় উন্নীত করনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে ঝুকিপূর্ন পাঁচটি ভবন ভাঙতে না পারার কারনে নির্মান কাজ শুরুতে বিলম্ব হচ্ছে। ওই পাঁচটি ভবনই বহু বছরের পুরানো। তাই এগুলো ভাঙতে হলে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের অনুমতি লাগবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি নিয়ে খুব দ্রুতই আড়াইশ শয্যার হাসপাতাল ভবন নির্মান কাজ শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী। পরিদর্শনকালে বরিশাল সিটি মেয়র ছাড়াও বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ মাকসুমুল হক, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন সহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রতিমন্ত্রী বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবিরকাঠি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনে যান প্রতিমন্ত্রী। সেখান থেকে ফিরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন তিনি। পরে সেখানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকদের সাথে মতবিনিময় করবেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি শেবাচিম হাসপাতালের সিসিইউ, আইসিইউ ও শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন, কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন ও অন্যাান্য জেষ্ঠ্য এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT