জনতার পুলিশ ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মাহমুদ জনতার পুলিশ ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মাহমুদ - ajkerparibartan.com
জনতার পুলিশ ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মাহমুদ

3:39 pm , March 19, 2019

পরিবর্তন ডেস্ক ॥ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কেবল কঠোরতাই নয়, অবহেলিত আর নিগৃহীত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়ে সকলের ধারণা পালটে দিয়েছেন সে। এই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এমএম মাহমুদ হাসান (পিপিএম) যিনি মানবসেবায় নিজেকে ব্রতী করেছেন। এছাড়াও তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করে নিজেকে উৎসর্গ করেন। জানা গেছে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মাহামুদ হাসান চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। ঝালকাঠিতে যোগদানের পর বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং ও স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে দক্ষতা ও সাফল্যে দেখিয়েছেন। এজন্য বরিশাল রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন। জানা গেছে, নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়নে মুসলিম ও হিন্দু পরিবারের মাঝে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে জমি নিয়ে বিরোধ শান্তিপুর্ন সুরাহা করে দেন তিনি। একই উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের জমি নিয়ে স্বাধীনতার পর থেকেই চলা বিরোধ সমাধান করে দেন। ঝালকাঠি পৌর এলাকার বিকনার এক স¤্রান্ত পরিবারের নারী ভন্ড ওঝার খপ্পরে পড়ে পিতা মাতা আত্মীয় স্বজন সহ পরিবারের সহায় সম্বল আত্মসাত করে কৌশলে ইজ্জত লুটে নেয়। এতে রাতের আধারে ঝালকাঠি ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই নারী। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এমএম মাহমুদ হাসানের কাছে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি জানায়। তখন তিনি ভ- ওঝার হাতিয়ে নেওয়া অর্থ থেকে ২০ লক্ষ টাকা এনে দিয়ে ওই নারীকে বেঁচে থাকার অবলম্বন দিয়েছেন।
ঝালকাঠির সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের সৎ ছেলের হাতে পঙ্গু হওয়া মিনারা বেগমকে সু-বিচার পাইয়ে দেন। এমনকি চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তাসহ মাথা গোঁজার ঘরটিরও ব্যবস্থা করে দেন। এরকমের শত শত লোকের কান্না থামিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়েছেন সৎ দক্ষ জনতার পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মাহমুদ হাসান পিপিএম। ঝালকাঠির জেলার কোটিপতি থেকে ভিখারি পর্যন্ত জনতার আস্থার প্রতিক হয়ে উঠেছেন এ পুলিশ কর্তা। সকাল শ্রেনির জনতার জন্য সমান চোখে সব সময় আইনি ও পুলিশি সেবায় তিনি নিষ্ঠাবান ও সততার পরিচয় দিয়েছেন। কৃতি এই পুলিশ কর্মকর্তারা ঝালকাঠিতে মাদকবিরোধী অভিযানেও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় বিরোধ নিস্পত্তি করে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। তাঁরা ঝালকাঠি জেলার অসংখ্য মানুষের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করে ফেরত দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থদের। সিসিটিভি স্থাপন করে শহরকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এনেছেন। কমেছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই।
তার দক্ষতায় বেড়েছে পুলিশের কর্মক্ষমতা। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষের। নানা সামাজিক কর্মকান্ডে তাকে দেখা যায় অগ্রভাগে। ঝালকাঠি জেলা উল্লেখযোগ্য চাঞ্চল্যকার ঘটনার বিষয়ে এ পুলিশ কর্তার অবদান রয়েছে অসমতুল্য। আদলাতে বছরের পর বছর ঘুরে কোন আইনী সুরাহা না পাওয়া শত শত লোকের সমস্যায় নিজেকে উজর করে তাদের বিরোধ নিস্পত্তি করে দৃষ্টান্ত করেছেন এ দক্ষ পুলিশ কর্তা। এমনকি দীর্ঘ ৩৫ বছরের থেকে শুরু করে হিন্দু মুসলিম বিরোধও নিস্পত্তি করে ঝালকাঠির জনতার পুলিশ অফিসার হিসাবে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
তার একাজের জন্য প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) সেবা পদকে ভূষিত হয়েছেন। পরপর দুইবারেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এ পদক প্রদান করেন।
পুলিশের কাজে অধিকতর শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা এসেছে। নিজের পেশাগত জায়গায় তিনি যেমন সফল মানুষ, তেমনি পেশার বাইরে ক্রীড়া সংগঠক ও সমাজের চেঞ্জ মেকার হিসেবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। স্বপ্নের সমৃদ্ধময় বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মাহমুদ হাসানের মতো স্বপ্নচারী মানুষগুলো সত্যিকার অর্থেই মাইলফলক হয়ে উঠবেন।
পটুয়াখালী জেলার ধুমকি উপজেলার অদর্শবান স্কুল শিক্ষরের ছেলে ও রতœগর্ভা মায়ের সন্তান এমএম মাহমুদ হাসান।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মাহমুদ হাসার পিপি এম বার বলেন, জনতাকে আইনি ও পুলিশি সেবা দেওয়া আমার কর্তব্য। মানুষের কল্যানে আমি নিজেকে নিঃস্বার্থ ভাবে বিলিয়ে দিতে চাই,মানুষ যাতে পুলিশের প্রতি শত ভাগ আস্থা নিতে পারে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT