তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ট্রেড লাইসেন্স’র বকেয়া আদায়ে অভিযানে বিসিসি তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ট্রেড লাইসেন্স’র বকেয়া আদায়ে অভিযানে বিসিসি - ajkerparibartan.com
তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ট্রেড লাইসেন্স’র বকেয়া আদায়ে অভিযানে বিসিসি

2:55 pm , March 18, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ট্রেড লাইসেন্স এর বকেয়া ফি আদায়ে মাঠে নেমেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) কর্তৃপক্ষ। নগরীর প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান শুরু করেছে তারা। অভিযানের প্রথম দিনেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে বিসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মাহমুদ জুয়েল মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি ২৪ ঘন্টার মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন। জরিমানা দেয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সদর রোডের এম ইলেকট্রনিক্সকে ৫ হাজার, গীর্জা মহল্লার খাদিজা ইলেকট্রনিক্সকে ৩ হাজার ও প্যারারা রোডের বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সকে ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স শাখার তত্ত্বাবধায়ক শহিদুল ইসলাম উজ্জল জানান, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১৩ হাজারের অধিক ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। যার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ৫ হাজারের মত লাইসেন্স নবায়ন হয়েছে। তিনি বলেন, এমনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ৬/৭ বছরেও তাদের ব্যবসায়ীক ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করেনি। তবে অভিযোগ রয়েছে ট্রেড লাইসেন্স শাখার বিএনপি ঘরানার এক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অনেকেই নবায়নে আগ্রহী ছিলেন না। বিষেশ করে সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের সময়ে এ ব্যাপারে কেউ খোজ খবর না নেয়ায় ট্রেড লাইসেন্স শাখায় দুর্নিতি ও অনিয়ম মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরেছিলো। বর্তমান মেয়র আসার পর সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য শাখায় দুর্নিতি কমলেও এখানে দুর্নিতিবাজ কর্মকর্তারা এখনও বহাল তবিয়তে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার যে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে তাদের মধ্যে দু’জন বিগত ৬ বছর এবং একজন ৩ বছর পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন করেনি। ৬ বছরেও কেনও নবায়ন করা হয়নি সেটিও ভেবে দেখার জন্য মেয়রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সাধারন ভুক্তভোগি মানুষ। এসব দুর্নিতিবাজদের কারনে বিসিসি’র স্বাভাবিক উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত ও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। তবে নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহনের পর দৃশ্যপট পাল্টেছে। নড়েচড়ে বসেছেন কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারিরা। তাই বকেয়া আদায়ের সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেন। যার অংশ হিসেবে ইতিপূর্বে ট্রেড লাইসেন্স শাখা কর্তৃক নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে বকেয়া পরিশোধের জন্য মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করছেন না। তাই সিটি মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বকেয়া আদায়ে অভিযান শুরু করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সোমবার থেকে ট্রেড লাইসেন্স শাখা বকেয়া আদায়ে অভিযান শুরু করা হয়েছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। যাদের এক বছরের বেশি বকেয়া রয়েছে তাদের জরিমানা সহ ২৪ ঘন্টার মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। তবে যাদের এক বছরের বকেয়া তাদের জরিমানা না করে বকেয়া পরিশোধের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহের চার দিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ট্রেড লাইসেন্স শাখার ওই কর্মকর্তা বলেন, সকল বকেয়া আদায় হলে নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত আরো এক কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে। এতে নাগরিক সেবার উন্নয়নের পাশাপাশি নগর উন্নয়নে অগ্রগতি বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT