3:42 pm , March 17, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রকাশ্যে এক মাংস ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেছে অপর মাংস ব্যবসায়ী ও তার সহযোগিরা। এই ঘটনায় গুরুতর আহত ওই মাংস ব্যবসায়ীকে মুমূর্ষ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে নগরীর কাউনিয়া বাগানবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর মুখ থেকে অল্পতে রক্ষা পাওয়া মাংস ব্যবসায়ীর হলো- রনি আহমেদ (৩৭)। তিনি নগরীর ৬নং ওয়ার্ডস্থ পুরান কয়লাঘাট এলাকার ফারুক আহমেদ এর ছেলে এবং নগরীর পোর্ট রোডের আজমিরি মিট হাউস এর মালিক। এদিকে এ ঘটনায় মহানগরীর কাউনিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন আহত মাংস ব্যবসায়ী রনি আহমেদ। তবে ঘটনার পর পরই নতুন বাজারের কশাই শামিম সিকদার আত্মগোপনে গেছে। সে কাউনিয়া মহাশ্মশান এলাকার বাসিন্দা মৃত ভুলু সিকদারের ছেলে। নতুন বাজার এলাকায় তিনি পচা শামীম নামেই পরিচিত। আহত রনি আহমেদ জানান, নতুন বাজারের মাংস ব্যবসায়ী শামীম এর সাথে তার এক বছর মেয়াদী ব্যবসায়ীক চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী গত ২১ ফেব্রুয়ারী তাকে ১৮ মন গরুর মাংস দেয়ার কথা ছিলো শামীমের। কিন্তু তা না দিয়ে শামীম চুক্তি ভঙ্গ করে। ফলে রনিকে প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ২১ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় থানা পুলিশ নিয়ে শামীমের কাছে গেলে শামীম ও তার বোন মাকসু তাকে হুমকি দেয়।
রনি জানান, এ বিষয়ে তিনি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত থেকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে। তাই অভিযোগ তদন্তের জন্য ১৯ মার্চ দুই পক্ষকে থানায় ডাকেন ওসি। এতে ক্ষিপ্ত হয় শামীম। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে রনি মোটর সাইকেল যোগে আবেদ আলী শাহ এর মাজার থেকে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কাউনিয়া বাগানবাড়ি সংলগ্নে শামীম ও তার কয়েকজন সহযোগী রনির পথরোধ করে এবং পেছন থেকে ডিসের তার দিয়ে রনির গলায় স্বাশ রোধ করে। তখন ঘটনাস্থলে পথচারীদের আসতে দেখে পালিয়ে যায় রনি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাউনিয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় রাতেই তারা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত পরবর্তী এজাহার মামলা হিসেবে রুজু হবে বলে জানিয়েছেন তারা।