বরাদ্দের চাল পৌছেনি অভাবে জাটকা শিকারে বাধ্য হচ্ছে জেলেরা বরাদ্দের চাল পৌছেনি অভাবে জাটকা শিকারে বাধ্য হচ্ছে জেলেরা - ajkerparibartan.com
বরাদ্দের চাল পৌছেনি অভাবে জাটকা শিকারে বাধ্য হচ্ছে জেলেরা

3:58 pm , March 11, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ কালীন সময় চার মাস অতিবাহিত হলেও জেলায় জেলেদের খাদ্য সহায়তার কোন চাল পৌঁছেনি। এর ফলে সরকারি সহায়তা বঞ্চিত হচ্ছেন জেলেরা। তাই আর্থিক অনটনের কারণে বাধ্য হয়ে জেলেরা জাটকা শিকার করছে। এরফলে জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জেলার সদর উপজেলার লাহারহাট এবং চন্দ্রমোহন এলাকার জেলে পল্লী ঘুরে দেখা গেছে, নভেম্বর মাস থেকে জাটকা আহরন নিষিদ্ধ করা হলে ইলিশের উপর নির্ভরশীল জেলেরা বেকার সময় পার করছেন। এরপর মার্চ ও এপ্রিল এ দুই মাসব্যাপী অভয়াশ্রম এলাকায় সকল ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বাড়তি বিপাকে পড়ছেন জেলেরা। ইতিপূর্বে জাটকা অহরন নিষিদ্ধ হলেও বড় নদীতে দেশীয় প্রজাতির অন্যান্য মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করার সুযোগ পেত বরিশালের জেলেরা। এ বছর থেকে বরিশালে ঘোষিত ষষ্ঠ অভয়াশ্রম মবিদ্যমান হওয়ায় মেঘনা নদীর ৮২ কিলোমিটার এলাকায় সকল ধরনের মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ফলে ইলিশ জেলেদের পাশাপাশি অন্যান্য জেলেরাও পড়েছেন বিপাকে। টুঙ্গীবারিয়া ইউনিয়নের মৎস্যজীবি জেলে সমিতির সভাপতি সালাম হাওলাদার জানান সঠিক সময়ে বরাদ্দের চাল না আসায় জেলেরা বাধ্য হয়েই অনেক সময় জাটকা শিকার করতে যাচ্ছে। এ কারণে জাটকা নিষিদ্ধ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। চন্দ্রমাহন ইউনিয়নের জেলে নেতা আনসার আলী, ছালাম, জলিলসহ অন্যান্যরা জানান, নভেম্বর মাস পরবর্তি চার মাস ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়ার কথা। কিন্তু চার মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন জেলেই বরাদ্দের চাল পায়নি। মৎস্য বিভাগ এবং চেয়ারম্যানের নিকট বারবার গেলেও কোন চাল পাওয়া যাচ্ছনা। বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাজদার রহমান জানান, পহেলা নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ৮ মাস ১০ ইঞ্চির ছোট সাইজের ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ। পাশাপাশি সদর উপজেলার জুনাহার থেকে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার মেঘনার কালিগঞ্জ পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় মার্চ ও এপ্রিল মাস সকল ধরনের মৎস্য শিকার নিষিদ্ধ। জেলার ৭৫ হাজার জেলের মধ্যে নিবন্ধিত ৩১ হাজার জেলেকে আমরা খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকি। ৪ মাস ৪০ কেজি করে চাল পাবেন জেলেরা। এ বছর তাদের বরাদ্দ এসে গেছে। খুব শীঘ্রই তাদের চাল সরবরাহ করা হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT