3:41 pm , March 7, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক \ শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরনের মাধ্যমে নগরীতে পালন করা হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নানা আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনটি পালন করা হয়। সকালে সূর্যদয়ের সাথে সাথে সদর রোডে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগহত্যাযজ্ঞ চালায়, চট্টগ্রামও তার মধ্যে অন্যতম। সেই বিভীষিকাময় রাতের পরের দিন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী নূরুল হক শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন। জিয়াউর রহমান চার দেয়ালের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষী পরিবেষ্টিত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করেন, আর নূরুল হক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাইকিং করে তা প্রচার করেন। এ জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারে জিয়ার চেয়ে চট্টগ্রামের নূরুল হকের কৃতিত্ব বেশি। সাতই মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের সাতই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতার ডাক দেওয়া কিংবদন্তি ভাষণের ওপর চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ইতিহাসবিকৃতির অপচেষ্টা করলেও বিশ্বব্যাপী আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিপিবদ্ধ। জিয়াউর রহমান তার জীবদ্দশায় কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি। ২৫শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঘোষণা তিনি ২৭শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করেন। আর আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ।
মন্ত্রী এ সময় বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতির ডাক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, জাতির পিতার এ ভাষণের মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন চ‚ড়ান্ত সংগ্রামের দিকে এগিয়ে যায়।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্যসচিব আবদুল মালেক বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।