শেবাচিমে চিকিৎসকের অবহেলায় অন্ত:স্বত্ত¡ার অকাল মৃত্যু শেবাচিমে চিকিৎসকের অবহেলায় অন্ত:স্বত্ত¡ার অকাল মৃত্যু - ajkerparibartan.com
শেবাচিমে চিকিৎসকের অবহেলায় অন্ত:স্বত্ত¡ার অকাল মৃত্যু

3:17 pm , February 27, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক \ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় ৯ মাসের অন্ত.স্বত্ত¡া মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে অন্ত.স্বত্তার স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারা হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার চেষ্টার করলে পালিয়ে রক্ষা পায় চিকিৎসক সহ সংশ্লিষ্টরা। এ সময় চিকিৎসকদের বিচার দাবী করে বিক্ষোভ করে মৃত’র স্বজনরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। গতকাল বুধবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের প্রসুতী (লেবার) ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। অন্ত.সত্ত¡া গৃহবধূর নাম মনি আক্তার (৩০)। তিনি নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডস্থ দক্ষিণ আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা সবুজ হাওলাদারের স্ত্রী। মৃত’র স্বামী সবুজ জানান, তার স্ত্রী’র সন্তান প্রসবের নির্ধারিত দিন ছিলো ২৬ ফেব্রæয়ারি। এজন্য প্রসব বেদনা শুরু হলে ওইদিন সকাল ৮টায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগে ইউনিট-১ এর ভর্তি করেন। সবুজ বলেন, শুরু থেকেই আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ভালোছিলো না। তাই বার বারই হাসপাতালের চিকিৎসকদের সিজারিয়ানের জন্য বলেছি। কিন্তু তারা বাচ্চা ও তার মা উভয়ে সুস্থ আছে বলে সময়ক্ষেপন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ২৬ ফেব্রæয়ারিবিকালে প্রসুতি মনি আক্তার আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হই। কিন্তু তখন একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়া কাউকে হাসপাতালে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৪ বার দ্রæত সিজারিয়ানের অনুরোধ জানাতে চিকিৎসকের রুমে যাই। কিন্তু তখনও কোন প্রতিকার পাইনি। বরং চিকিৎসকদের কক্ষে থাকা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সিনিয়র চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেন। কিন্তু ২৭ ফেব্রæয়ারি সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত রোগীর সিজারিয়ানের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সর্বশেষ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে অন্তসত্ত¡া মনি ও তার গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়। স্বজনরা বিষয়টি জানলে তারা হাসপাতালে এসে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। অবহেলার অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের উপর হামলা ও তাদের কক্ষে ভাংচুরের চেষ্টা করে। তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কক্ষ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে অপারেশন থিয়েটারে আশ্রয় নেয় চিকিৎসকরা। অভিযোগ প্রসঙ্গে গাইনী বিভাগের রেজিষ্ট্রার ডা. সুইটি বলেন, এখানে চিকিৎসকদের অবহেলার কোন কারন নেই। কেননা মনি নামের রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিলো না। সিজারিয়ান করার মত অবস্থা ছিলো না তার। যে কারনে অপেক্ষা করা হচ্ছিলো। সিনিয়রদের পরামর্শ অনুযায়ী বুধবার সকালে তার সিজারিয়ানের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবী করেন ওই চিকিৎসক।
এদিকে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. ইউনুস মিয়া বলেন, রোগীর মৃত্যু নিয়ে একটু বিশৃঙ্খলা হয়। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হওয়ার আগেই পুলিশকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তাছাড়া আমি মৃত’র স্বজনদের সাথে কথা বলেছি। তাদের অভিযোগ থাকলে তা লিখিত ভাবে জানাতে বলেছি। আমরা তদন্ত করে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT