3:40 pm , February 25, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর জিলা স্কুলের প্রধান ফটকের পাশেই বরিশাল সিটি করর্পোরেশনের ড্রেন’র উপর রাস্তাটি তৈরি করা হয় সাধারন মানুষ ও জিলাস্কুলের শিক্ষার্থীদের চলাচল করার জন্য। কিন্তু সেখানে বরিশাল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক বাবুল শরীফের ভাইয়ের ছেলে আকাশ রাস্তাটি অবৈধ ভাবে দখল করে ঘোড়া রাখার স্থান বানিয়েছেন। শুধু তাই নয় রাস্তা উপরে পড়ে রয়েছে ঘোড়া মলমূত্র যার গন্ধে জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং ঐ স্থানে বসবাস করার কয়েকটি পরিবার ও ওখান থেকে প্রতিদিন চলাচল করা সাধারন মানুষ দূর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। র্দীঘ দিন ধরে পথচারীরা ঘোড়ার মালিক আকাশ ও তার কর্মচারীকে রাস্তায় ঘোড়া বেধে রাখতে বললেও তা কোন তোয়াক্কা করছেনা। প্রায় এক বছর যাবত রাস্তা দখল করে জিলা স্কুলের দেয়ালের সাথে ঘোড়া রাখা হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে বরিশাল জিলা স্কুলের দেওয়ালটিও। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রদের অভিভাবকরা অভিযোগ করার পরে বেশ কয়েক বার ঘোড়ার না রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু মালিকে কোন নির্দেশ আমলে নেয়নি। জিলা স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, প্রতিদিন ড্রেনের রাস্তার উপর থেকে আমাদের স্কুলের ছাত্ররা আসা যাওয়া করে থাকে। শুধু ছাত্ররাই নয় আমরা শিক্ষকরাও ওখান থেকে ঘোড়ার মলের গন্ধের কারনে নাক চেপে আসা যাওয়া করে থাকি। তিনি আরো বলেন, গোড়ার মল শুধু ড্রেনের উপরেই না। ড্রেনের মধ্যে প্রতিদিন ফালানো হচ্ছো ঘোড়ার মল। যার কারনে ড্রেনের পানি চলাচল হচ্ছেনা। জিলা স্কুলের ছাত্র হাসিবের বাবা বলেন, ঘোড়ার মলের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর এতে করে ওই এলাকার মানুষজন গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। একদিকে ঘোড়ার মলের দুর্গন্ধে মশা ও মাছির বেড়েছে উপদ্রব। যত্রতত্র ড্রেনটিতে ময়লা পড়ে থাকায় মশা মাছির বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে। ফলে ওই এলাকার মানুষজনকে নাক ও মুখে কাপড় দিয়ে চেপে চলাফেরা করতে হচ্ছে। সার্কিট হাউজের সামনে টাইল্স দোকানের কয়েকজন ব্যবসায়ীরা বলেন, শীতে গন্ধ একটু কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে রোদের তাপ যেদিন বেশী থাকে সেদিন ঘোড়ার পায়খানার গন্ধে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে আমরা বাসায় যেতে পারিনা দোকানে বসেই দুপুরের খাবার খেতে হয় ঘোড়ার মলের দূর্গন্ধে মধ্যে। ঘোড়ার মলের গন্ধে আশপাশের পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি মানুষজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঘোড়ার মালিক আকাশ বলেন, ভাই জায়গা নাই তাই ঘোড়া এখানে রাখি। আপনার সমস্যাটা কি। আপনার সমস্যা হলে আপনি এখান থেকে চলাচল করবেনা। এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করর্পোরেশনের পরিছন্নতা কর্মকর্তা ডাঃ রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগও আমরা পায়নি। তবে বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের দেখা উচিৎ। আমরা খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।