3:02 pm , February 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক \ কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন প্রতিরোধ ও নদীতে জেগে ওঠা ডুবচর অপসারন প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর বেলতলার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে ও দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে কাজের উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী (অব.)কর্ণেল জাহিদ ফারুক শামীম। উদ্বোধন পরবর্তী প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, ‘প্রকল্পে কোন ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। গুনগত মান অক্ষুন্ন রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। এর ব্যতয় কিংবা অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পাশাপাশি অনিয়ম হলে স্থানীয় জনসাধারনকে প্রতিবাদ এবং গনমাধ্যমের কাছে তা তুলে ধরার আহŸান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
উদ্বোধনী প্রকল্পের উদ্বোধনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল জোনের প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকর আলী হাওলাদার, কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন কবল থেকে বেলতলা হতে চরবাড়িয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবদায়ক প্রকৌশলী রমজান আলী প্রমানিক ও খুলনা শিপইয়ার্ডের জিএম (প্লানিং) নৌ বাহিনীর ক্যাপ্টেন আল ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প পরিচালক রমজান আলী প্রামানিক জানান, নদী ভাঙ্গন কবলিত স্থানীয় মানুষের দির্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ৩৩১ কোটি ২৩ লাখ টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়। এই প্রকল্পের আওতায় নগরীর বেলতলা থেকে চরবাড়িয়া পর্যন্ত ৪.৫১ কিলোমিটার এলাকায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার জিও ব্যাগ ও ১২ লাখ ২০ হাজার সিসি বøক ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে কীর্তনখোলা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষন এবং নদীর অপরপাশে চরবাড়িয়া পয়েন্টে ৫.৬০ কিলোমিটার চর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা রক্ষা করা হবে। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ শত ৯ কোটি টাকা। নির্ধারিত ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষে হলে কীর্তনখোলা নদীর ভাংগনের কবল থেকে স্থানীয় মানুষের সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি নদীর নাব্যতা সংকট দূর হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক রমজান আলী প্রামানিক।