3:42 pm , February 15, 2019
পরিবর্তন ডেস্ক \ সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। শুক্রবার সকালে জেলার মাতিয়ান হাওরে বাঁধের কাজ পরিদর্শনের সময় তিনি এই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “কাজটা যেভাবে আশা করেছিলাম, সে রকম হয়নি। যেভাবে কাজ হয়েছে এই কাজের ওপর টাকা দেব না। কাজটার জন্য যে মেজারমেন্ট দেওয়া আছে, তা যে পর্যন্ত না হবে সে পর্যন্ত আমরা কোনো টাকা-পয়সা দিতে রাজি না। “আমরা নির্দেশ দিয়েছি, তারা যদি ঠিকমত কাজ সম্পন্ন করতে পারে, তাহলে হাওর সেফ হবে। যে টাকা বরাদ্দ আছে তারা তা পাবে। কাজ সম্পন্ন না করে টাকা পাবে না। আমরা কাজ সম্পন্ন না করলে টাকা দিতে রাজি নই।” এর আগে বাঁধের কাজ পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন, “ঠিকমত কেন মাটি পড়েনি? দ্রæত কেন কাজ শেষ হচ্ছে না?” কর্মকর্তারা এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি। প্রতিমন্ত্রী দ্বায়িত্বরত প্রকৌশলীদের আরও সচেতন হতে বলেন। ২০১৬ সালে সুনামগঞ্জের ৩৭টি হাওরের ডুবে যাওয়া বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজে ৬৫ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প নেওয়া হয়। পরের বছর মার্চের শেষ দিকে টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তলিয়ে যায় দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিস্তীর্ণ হাওর এলাকা। এতে কিশোরগঞ্জ, সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ আশপাশের ছয়টি জেলার হাওর এলাকার মোট দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। অকাল বন্যায় ক্ষতির শিকার হয় আট লাখ ৫০ হাজার ৮৮ পরিবার। গত বছর জুনে হাওর উন্নয়ন বিষয়ক এক গোলটেবিল আলোচনায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৭ সালে বন্যায় হাওরের ফসল ভেসে গিয়ে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়।