3:48 pm , February 14, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক \ গৃহপরিচারিকা কিশোরী ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় ধর্ষক সহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ তাদের আটক করে। এই ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাদ দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার এসআই অরবিন্দু বিশ্বাস বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় ধর্ষক দোকান কর্মচারী এবং নির্যাতনকারী বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রী সহ ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের লুৎফর রহমান সড়কের বাসিন্দা কনফ্রেকশনারী দোকানের ব্যবসায়ী মৃত সফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মজিবর রহমান হাওলাদার, তার স্ত্রী সায়েলা রহমান লিপি ও তাদের দোকানের কর্মচারী মাসুম। এর মধ্যে ধর্ষক হিসেবে দোকান কর্মচারী মাসুমকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এয়ারপোর্ট থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, এক বছর পূর্বে লুৎফর রহমান সড়কের বাসিন্দা মজিবর রহমান হাওলাদারের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয় ১৪ বছর বয়সী কিশোরী। এর পর থেকেই বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে মজিবর ও তার স্ত্রী সায়েলা রহমান লিপি। তাদের নির্যাতন এতটাই ভয়ংকর ছিলো যে মধ্যযুগের নির্যাতনকেও হার মানায়। মজিবর ও লিপি দম্পতি কিশোরীর শরীরে স্ত্রী ও খুনতির ছেকা দিয়ে শরীর ঝলসে দিয়েছে। কিশোরীর সমস্ত শরীর জুড়ে শুধু মারধর আর আঘাতের চিহ্নই ফুটে উঠছে। এদিকে ওসি আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, এখানেই শেষ নয়, গত ১২ ফেব্রæয়ারী মজিবরের স্ত্রী সায়েলা রহমান লিপি তার সন্তানকে নিয়ে কোচিংএ যায়। ওইদিন দুপুরে মজিবরের বাড়ি নিচে থাকা কনফ্রেকশনারীর দোকানের কর্মচারী মাসুম কিশোরীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। লিপি ঘরে ফেরার পরে কিশোরী তাকে ধর্ষনের অভিযোগ লিপিকে জানায়। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয় সে। মাসুমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলে কিশোরীকে মারধর করে। এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ গোপনে বিষয়টি জানতে পারেন। এর পর বুধবার রাতেই লুৎফর রহমান সড়কের মজিবর রহমানের বাসায় অভিযান চালায় ওসি আব্দুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বাধিন পুলিশের একটি টিম। তখন ওই বাসা থেকে ধর্ষিতা ও নির্যাতিতা গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। পাশাপাশি ধর্ষক মাসুম, বাড়ির মালিক নির্যাতনকারী মজিবর ও তার স্ত্রী লিপিকে আটক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষক সহ আটককৃত তিনজনকে নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছে।