3:50 pm , February 13, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক \ আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী জেলা আইনজীবী সমিতির ২০১৯ এর নির্বাচন। গতবারের ন্যায় এবারও কোন প্যানেল ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে কার্যনির্বাহী পরিষদের ১১টি পদের বিপরীতে সভাপতি পদে তিনজনসহ মোট ২২ জন আইনজীবী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। নির্বাচন পরিষদের সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান বাচ্চু জানান, আজ বৃহস্পতিবার আইনজীবী সমিতির মূলভবন সংলগ্ন ভবনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। ৮ টি বুথে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন করবে নির্বাচন উপ-পরিষদ। এতে ৭৫৭ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মাঝে বেলা দেড়টা থেকে দুইটা পর্যন্ত মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি থাকবে। তিনি আরো জানান, , ১১ টি পদের বিপরীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থিত ৬১ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। পরে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন মাত্র ৩১ জন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সমর্থিত ১৭ জন ও বিএনপি সমর্থিত ১৪ জন। রোববার আরো ৮ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ায় ২২ জন আইনজীবী ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। এর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন সভাপতি পদে সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ (সাজু), তার প্রতিদ্ব›িদ্ব হিসেবে রয়েছেন দীর্ঘদিন থেকে আ’লীগ করে আসা আলাউদ্দিন হাওলাদার ও বিএনপি সমর্থিথ আবুল কালাম আজাদ-১। সহ-সভাপতি পদে আ’লীগ সমর্থিত গৌরাঙ্গ চন্দ্র শীল, খলিলুর রহমান প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী রয়েছেন বিএনপি সমর্থিথ জাহিদ হোসেন ও অসীম কুমার বাড়ৈ। সাধারণ সম্পাদক পদে আ’লীগ সমর্থিত ফিরোজ মাহমুদ খান ও প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী শেখ হুমায়ুন কবির মাসুদ। যুগ্ম সম্পাদক পদে আ’লীগ সমর্থিত মইনুদ্দিন মাহবুববল আলম সিকদার, সামসুজ্জামান সোহেল, প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী রয়েছেন বিউটি সুলতানা ও কাজী আবুল হাসান। অর্থ-সম্পাদক পদে নিয়াজ মাহমুদ খান প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী রয়েছেন শাহনুর খানম। সদস্য পদে আ’লীগ সমর্থিত আরিফুর রহমান সিকদার রাসেল, মেজবাহ উদ্দিন সুরুজ, সানজিদা শারমিন মৌরি, অসীম কুমার সাহা প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী রয়েছেন মিজানুর রহমান রাজু, মোস্তাফিজুর রহমান ও হারুন-অর-রশিদ। নির্বাচন নিয়ে একাধিক আইনজীবী ভোটারদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, এবারের নির্বাচন কিছুটা ব্যাতিক্রম। কোন প্যানেল না থাকায় এককভাবে নির্বাচন করা হচ্ছে। যার ফলে সবাই দল না খুজে প্রার্থী দেখছেন। নির্বাচনে সবসময়ই সভাপতি সম্পাদক পদের মধ্যেলড়াইটা বেশী হয়ে থাকে। এবারেও তাই হবে। তবে আ’লীগ প্রার্থী দুইজন থাকায় বিএনপি প্রার্থীর বিজয়ের সুযোগ বেশি রয়েছে। এছাড়া অন্য সকল পদেও কম লড়াই হবেনা, প্রতিটি পদেই লড়াই হবে বলে মন্তব্য করেন তারা। প্রার্থীরা জানান, এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে ভোটাররা নিরব ভূমিকা পালন করছেন। কোন প্যানেল না থাকায় তারা ব্যাক্তি হিসেবে ভোট চেয়েছেন। সবার দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন দলমত নির্বিশেষে। তারা নিজেদের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি বলেও উল্লেখ করেন। তারা আরো জানান, ভোটের রায় যাই হবে আমরা মেনে নিয়ে সকলকে সাথে নিয়ে এক সাথে কাজ করবো।