3:08 pm , February 11, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক \ বরিশালের ক্রীড়াঙ্গনে খুব শীঘ্রই নতুন মাত্রা যুক্ত করতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাব । খেলোয়াড়দের কল্যাণের লক্ষ্যে সংগঠনটির উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক একটি স্থায়ী কার্য্যালয়। কার্য্যালয়ের অওতায় আধূনিক অফিস কক্ষ, নামাজের স্থান, টিউবয়েলে মাধ্যমে পানি সরবরাহ সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে বরিশালের ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ অবকাঠামো । বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ যে কোন সময়ে এ ক্লাবটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল সরেজমিনে বরিশাল স্টেডিয়াম এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে স্টেডিয়ামের উত্তর দিকে প্রায় দুই হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব অফিস কক্ষ তৈরি করেছে সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাব।অফিস কক্ষের অভ্যন্তরে সুসজ্জিত নামাজের স্থান, অফিস কক্ষ, খেলোয়ারদের ড্রেসিং ব্যবস্থা, বাথরুম, ডিপ টিউবওয়েল এর পানির সুবিধা, বসার স্থান, বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা সহ খেলোয়রদের প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে । অফিস কক্ষের বিপরীত দিকে ফাঁকা স্থানে করা হয়েছে সুসজ্জিত দৃষ্টিনন্দন বাগান। বাগানের মধ্যে ছোট আকৃতির লেকের আদলে তৈরি করা হয়েছে মাছ চাষের জন্য পানি সংরক্ষনের স্থান। এছাড়া ফুল গাছ এবং আলোক স্বজ্জা সহ দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন স্থাপনা তৈরী করা হয়েছে বাগানের মধ্যে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার পরে ক্লাবের অভ্যন্তরে করা হবে খেলোয়ারদের ব্যায়্যাম এর ব্যবস্থা । সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের সদস্য ছড়াও ও স্টেডিয়ামে নিয়মিত অনুশীলনকারী যে কোন খেলোয়ার ও ক্রীড়া সংগঠনের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা । বরিশালের ক্রীড়াাঙ্গনের অন্যতম ধারাভাষ্যকার শফিক আহমেদ জানান, বর্তমানে যে স্থানটিতে সোনালী অতীত ক্লাব কার্যালয় এবং বাগান করেছে পূর্বে এখানে পরিত্যক্ত এবং জঙ্গল আবৃত ছিল। কিন্তু ক্লাব এর অফিস কক্ষ এবং বাগান করার পর সম্পন্ন নতুন আবহ তৈরি হয়েছে। পূর্বে খেলোয়াররা স্টেডিয়ামে এলে পোশাক পরিবর্তন, বাথরুমে যেতে ,পানি পান করতে পারত না । ফলে অনেকেই স্টেডিয়াম বিমুখ হয়েছে। কিন্তু এ সকল কার্যক্রম করার ফলে খেলোয়ারদের একটি স্থান তৈরি হল । সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি এবং বিশিষ্ট ক্রীড়ানুরাগী মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস জানান, স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে এ স্থান বরাদ্দ নিয়ে ক্লাব সদস্যদের ব্যক্তিগত অর্থে এ সকল কার্যক্রম করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তিনি আরো জানান অনেক আগে থেকেই আমরা এ ক্লাবের মাধ্যমে বরিশালের ক্রীড়াঙ্গনের খেলোয়াদের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও করে আসছি। সকলের সহায়তা পেলে খেলোয়ার তৈরিতে এ সংগঠন ভবিষ্যতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে । সাম্প্রতি একজন খেলোয়ারেরর পরিবারকে সকলে মিলে চারলাখ টাকা পর্যন্ত আমরা সহায়তা করেছি। সকলে মিলে ভবিষ্যতে এ ধারা আমরা মঅব্যাহত রাখতে চাই। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহ যখন সময় দিয়ে উদ্বোধন করবেন তখনই আমরা ক্লাবটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। সোনালী অতীত ক্লাব এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাবেক খেলোয়ার মোঃ সামসু সহ অন্যান্যরা জানান বর্তমানে আমরা মাসিক ১০০ টাকা চাঁদা দিচ্ছি । এর অর্ধেক উন্নয়ন কর্মকান্ডে এবং বাকি অর্ধেক খেলোয়ারদের সহায়তার কাজে ব্যয় হচ্ছে। আশির দশকে প্রতিষ্ঠিত বরিশালের ঐতিহ্যবাহী এ ক্রীড়া সংগঠনটি ক্রীড়াঙ্গনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের এ ধারাবাহিকতাবজায় রাখবে বলে তারা প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।