শেবাচিমে লাশ নিয়ে সংঘর্ষে এসআইসহ আহত-২ শেবাচিমে লাশ নিয়ে সংঘর্ষে এসআইসহ আহত-২ - ajkerparibartan.com
শেবাচিমে লাশ নিয়ে সংঘর্ষে এসআইসহ আহত-২

3:27 pm , February 10, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক \ আইনী প্রক্রিয়া ছাড়াই জোর করে দুর্ঘটনায় নিহত যুবকের লাশ নেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মচারীদের সাথে নিহতের স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় নিহতের স্বজনদের হামলায় পুলিশের একজন এসআই ও হাসপাতালের একজন কর্মচারী আহত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশের এসআই নাজমুল হোসেনকে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগ ও কর্মচারী শাহাদাৎ হোসেন শান্তকে সার্জারী বিভাগে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় নিহতের মৃতদেহ নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে পুলিশ ও কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। অবশ্য মানবিক কারনে হামলার বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গাছের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন উজিরপুর উপজেলার ধামুরার কাংশি এলাকার মৃত আজাহার আলী সরদারের ছেলে আবু আনসার (৪০)। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন।
পাশাপাশি জরুরী বিভাগের স্টাফদের দূর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর কারনে মৃতদেহটি হাসপাতালের লাশ সংরক্ষণ কক্ষে প্রেরনের নির্দেশ দেন তিনি। চিকিৎসকের নির্দেশে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী শাহাদাৎ হোসেন শান্ত মৃতদেহটি লাশ সংরক্ষণ কক্ষে নিয়ে যেতে চাইলে নিহতের স্বজনরা তাকে বাধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় নিহতের স্বজনরা হাসপাতালের কর্মচারী শান্ত’র উপর হামলা ও মারধর করে। তখন হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন বাধা দিতে গেলেও তাকেও আহত করে নিহতের স্বজনরা। তখন হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারীদের সাথে নিহতের স্বজনদের সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে হাসপাতালের স্টাফদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে তারা। পাশাপাশি মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালের লাশ সংরক্ষন কক্ষে নিয়ে যায়। তাছাড়া স্বজনদের হামলায় আহত পুলিশের এসআই নাজমুল ও কর্মচারী শান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বর চিকিৎসক ডা. আমিরুল ইসলাম বলেন, রোগীর মৃত্যুর পরে স্বজনদের লাশ নেয়ার পদ্ধতির বিষয়টি আমরা বুঝিয়ে বলেছি। কিন্তু তারা তা না শুনে জোর করে লাশ নিয়ে যাচ্ছিলো। এতে বাধা দেয়াতেই এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ ও কর্মচারীর উপর হামলা করে নিহতের স্বজনরা অপরাধ করেছে এটি ঠিক। তবে এটি একটি মৃত্যু নিয়ে ঘটনা। তাই মানবিক কারনে আমরা এ বিষয়ে কোন আইনী প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি না।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT