3:35 pm , February 6, 2019
পরিবর্তন ডেস্ক \ চলতি বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করার ‘সর্বাত্মক’ প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে বুধবার একথা জানান সরকার প্রধান। দেশের দীর্ঘতম এই সেতু নির্মাণে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, “কারিগরি দিক থেকে অত্যন্ত জটিল এ সেতুর পাইল ড্রাইভিং চলাকালে সয়েল কন্ডিশনের কারণে কিছু পাইলের পুনরায় ডিজাইন করতে হয়েছে। দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী এ সকল পাইলিং ডিজাইনের কাজ সম্পন্ন করতে কিছু সময়ের প্রয়োজন হয়েছে। “এ সত্বেও ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।” ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৬২ শতাংশ ভৌত কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রেল সংযোগ স্থাপন এবং পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা হতে বরিশাল পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের কাজও চলছে।” ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারিত থাকলেও কয়েকটি পিলারের নকশা জটিলতায় তা হয়নি। পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর করা হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে মোট ছয়টি স্প্যান বসানো হয়েছে। প্রতিটি ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৪১টি স্প্যান ৪২টি পিয়ারের ওপর বসিয়েই তৈরি হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। দ্বিতল এই সেতুতে থাকবে রেল চলাচলের ব্যবস্থা। পদ্মা সেতু হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসায় অর্থনৈতিক কর্মকাÐ বাড়বে। এই সেতু চালু হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ বেড়ে যাবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, পদ্মা রেল সংযোগের আওতায় ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার ৫৮২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোর জেলার আরও এক হাজার ২০৩ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। রেলপথ না থাকা বরিশাল জেলাকেও রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার সংসদে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা, একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ের কারণ, রোহিঙ্গা সমস্যা, উচ্চশিক্ষা, তরুণদের কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।