3:32 pm , February 5, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক \ বাকিতে জ্বালানী তেল না দেয়ায় পেট্রোল পাম্পের স্টাফদের উপর হামলা করেছে বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকেরা। এ সময় তারা পাম্পের চার কর্মচারীকে মারধর করে তেলের টাকা না দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়াে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন কামিনি পেট্রোল পাম্পে এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সবাই বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের গাড়ি বহরের লোক বলে জানিয়েছেন পাম্প মালিক ওয়ালি মোহাম্মদ খান। প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলার শিকার কামিনি পেট্রোল পাম্প কর্মচারীরা জানান, বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপন প্রায় দুইশ মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে দুপুরে আগৈলঝাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় প্রতিটি মোটর সাইকেলে দুই থেকে তিনশত টাকার করে পেট্রোল ও অকটেন নেয়।
কর্মচারীরা বলেন, মোটরসাইকেল বহরের লোকেরা পেট্রোল ও অকটেন নিলেও দাম না দিয়ে চলে যেতে চায়। এ সময় টাকা চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপন দিবে বলে চলে যেতে চায়। কিন্তু বাকি হবে না জানালে পাম্পে থাকা স্টাফদের উপর খালেদ হোসেন স্বপনের লোকেরা হামলা ও বেধম মারধর করে। খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পাম্পের মালিক ওয়ালি মোহাম্মদ খান বলেন, ওই স্থান হতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কয়েকটি বহর গেছে। এর মধ্যে একটি বহর আমাদের পাম্প থেকে তেল নেয়। তেলের টাকা চাওয়ার কারনেই বহরের লোকজন স্টাফদের উপর হামলা করেছে। পরে যতটুকু জানতে পেরেছি যারা হামলা করেছে তারা উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের লোক।
তিনি বলেন, পুলিশ এসেছিলো। আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দও বিষয়টি সামাধান করবেন বলে আমাদের আশ্বস্থ করেছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে আইনী প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছি না। তবে এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, তেলের টাকা চাওয়া নিয়ে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের সাথে কথা বলেছি। তিনি বিষয়টি সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। সামাধান না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।