বর্ষার পূর্বেই ড্রেন পরিস্কারের টার্গেট সিটি কর্পোরেশনের বর্ষার পূর্বেই ড্রেন পরিস্কারের টার্গেট সিটি কর্পোরেশনের - ajkerparibartan.com
বর্ষার পূর্বেই ড্রেন পরিস্কারের টার্গেট সিটি কর্পোরেশনের

3:27 pm , February 5, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক \ মহানগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা সচল করতে অবশেষে নগর ভবন-এর পরিচ্ছন্ন বিভাগ কিছুটা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সিটি মেয়রের নির্দেশে বর্ষার আগেই নগরীর ড্রেনগুলো পরিস্কার করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিকদের চাপে নুহ্যমান বরিশাল সিটি করপোরেশন-এর পরিচ্ছন্ন বিভাগ থেকে এতদিনের জঞ্জালও কিছুটা পরিস্কার করা হয়েছে ইতোমধ্যে। দায়িত্ব গ্রহনের একশ দিনের মাথায় সিটি মেয়র নগরীর সোয়া ৩শ’ কিলোমিটার ড্রেনই পরিস্কার করে অবিলম্বে পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নির্বিঘœ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এখনো এ নগরীতে কাঁচা ড্রেন প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার । সব কাঁচা-পাকা ড্রেনই গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত পরিস্কার করা হচ্ছেনা। ফলে মাত্র আধ ঘন্টার মাঝারী বর্ষনেই এ নগরীর বেশীরভাগ রাস্তায় এ হাটু পানি জমে। বিষয়টি নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ থাকলেও নগর ভবনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাবেক কর্তার সেদিকে দৃষ্টি ছিলনা বলে সুস্পষ্ট অভিযোগ ছিল। এমনকি নগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যাবস্থা সহ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমকে পুজি করেই কতিপয় কর্মকর্তা বিদায়ী নগর প্রশাসনের শেষ দুটি বছরে বার বারই আন্দোলনের নামে নগরবাশীকে অনেকটাই জিম্মি করে রাখে। অকার্যকর করারও চেষ্টা করেন নগর প্রশাসনকে। অথচ নগর ভবনে যে দেড় সহশ্রাধিক পরিচ্ছন্ন কর্মী রয়েছে তাদের এক-তৃতীয়াংশও যদি দৈনিক দু ঘন্টা কাজ করত, তবে এ নগরীকে একটি মান সম্মত ও আদর্শ নগরীতে পরিনত করা সম্ভব বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহল মহল।
নতুন নগর প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহনের পরে সিটি মেয়র সব ময়লা আবর্জনা রাতের মধ্যে পরিস্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন । যা ইতোমধ্যে অনেকটাই কার্যকর হওয়ায় দিনের বেলা নগরবাশীর চলাফেরায় অনেকটাই সাচ্ছন্দ ফিরে এসেছে। তবে নগরীর অনেক এলাকার রাস্তায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সন্ধার পর পরই ঝাড়– দিতে শুরু করায় ও ময়লা আবর্জনা জমা করতে শুরু করায় নতুন বিড়ম্বনায়ও পড়তে হচ্ছে নগরবাশীকে। কিন্তু এসব কিছুর পরেও সিটি মেয়র ইতোমধ্যে নগরীর ড্রেনগুলো পরিস্কার করার নির্দেশ দেয়ায় নগরী বিভিন্ন এলাকাতেই বিভৎস চিত্র ফুটে উঠছে। নগরীর বেশীরভাগ ড্রেনই গত দু বছরেও পরিস্কার করা হয়নি। নগরীর খোদ সদর রোডের প্রধান ড্রেনটির তিন-চতুর্থাংশই ভরাট হয়ে গেছে ময়লা আবর্জনা আর নির্মান সামগ্রীতে। ড্রেনগুলো খোয়া-বালু আর কাঁদায় ঠাশা। এ ড্রেন পরিস্কার করাতে গিয়ে সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ হতবাক হয়ে গেছেন। পুরো সদর রোডের মূল ড্রেনে পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা ইতোমধ্যে রুদ্ধ হয়ে গেছে। এমনকি ফজলুল হক এভেনিউর ড্রেনের অভ্যন্তরে নির্মানকালীন সময়ে ¯øাব সেন্টারিং-এর বাঁশ ও কাঠের অংশ বিশেষও পাওয়া গেছে। তবে এসব ড্রেনগুলো দিনের বেলাতে পরিস্কার করায় পথচারী সহ যানবাহন চলাচলে ব্যাত্যয়ও ঘটছে। আবার খোদ সদর রোডেই ড্রেনের ময়লা রাস্তার কিনারায় রাখার পরে তা ৪৮ ঘন্টায়ও অপসারন করা হচ্ছে না। ফলে ড্রেনে দীর্ঘদিন জমে থাকা ঐসব ময়লা-আবর্জনা রাস্তার ওপরে এসে এখন উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছে। এসব বিষয়ে নগর ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের আরো আন্তরিকতার তাগিদ দিয়েছেন ওয়াকিবাহল মহল।
তবে এখনো নগরীর ৯০ ভাগেরও বেশী এলাকার ড্রেন অপরিচ্ছন্ন থাকায় চলমান এ কার্যক্রম আরো গতিশীল করার কোন বিকল্প নেই বলেও মনে করছেন মহলটি। পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা সচল করতেই এবিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদানের তাগিদ রয়েছে নগরবাশীর পক্ষ থেকেও। নগরীর নবগ্রাম রোডে ড্রেনের অবস্থা অন্য যেকোন এলাকার চেয়ে করুন। এখানে মনসুর কোয়াটার থেকে অক্সফোর্ড মিশন রোডের মুখ পর্যন্ত কয়েকজন ভবন মালিক রস্তার ওপর দিনের পর দিন বালু ও খোয়া সহ বিভিন্ন ধরনের নির্মান সামগ্রী ফেলে রেখে ড্রেনটির প্রায় নব্বই শতাংশই ভড়াট করে ফেলেছেন। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই বটতলা বাজার এলাকা থেকে হাতেম আলী কলেজ পর্যন্ত সড়কটির ওপর পানি থৈ থৈ করে। মাঝারীÑভাড়ী বর্ষনে রাস্তার ওপর জাল ফেলে মাছ ধরার দৃশ্যও উপভোগ করেন অনেকে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রাস্তার ওপর নির্মান সামগ্রী ফেলে ড্রেনটি ভড়াট করার প্রতিবাদ করেননি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগনও। প্রায় একই অবস্থা বাংরাদেশ ব্যাংকের সামনের ড্রেনটির। সেখানে গত তিন বছরে দুটি বহুতল ভবন-এর নির্মান সামগ্রীতে মূল ড্রেনটি ভড়াট হয়ে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেসের পথেও এক থেকে দেড় ফুট পানি জমে যেত। তবে স¤প্রতি সেখানের রাস্তাটি উচু করা সহ নতুন ড্রেন নির্মান করা হয়েছে। তবে নতুন ঐ ড্রেনটিও নিয়মিত পরিস্কার হচ্ছেনা। এখানেও বিবেকহীন বাড়ীওয়ালাদের বিবেক জাগ্রত হবে কিনা সে প্রশ্নও রয়েছে অনেকেরই।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT