অভাবনীয় উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন নগর ও সদর উপজেলাবাসী অভাবনীয় উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন নগর ও সদর উপজেলাবাসী - ajkerparibartan.com
অভাবনীয় উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন নগর ও সদর উপজেলাবাসী

3:20 pm , January 24, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অভাবনীয় উন্নয়নের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে বরিশাল সদর-৫ আসনের বাসিন্দারা। দীর্ঘ ৩২ বছর পর এই আসনে একজন মন্ত্রী ও একই সাথে তারুন্যের অহংকার নগর পিতা পেয়ে এখন তারা আমুল উন্নয়নের আশায় রয়েছে। এর আগে কখনই এমন সমন্বয় নগরীসহ সদর উপজেলার বাসিন্দারা পাননি। তাই এবার নগরীসহ সদর উপজেলাবাসীর মন্তব্য অতীতের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড ছাড়িয়ে যাবে এবার। ঠিক তেমনি ধারনা সুশীল সমাজ সহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের। তাদের মতামত, বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। সদর আসনের উন্নয়নে এমন একজন রুচিশীল ও যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সততা, কর্মের মাধ্যমে সাধারন মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে জনপ্রিয়তা উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আকাংখা এবং প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ধরে রাখার কঠিন লক্ষ্য নিয়ে পথচলা শুরু করেছেন প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম। অন্যদিকে তারুন্যে অহংকার খ্যাত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ইতিমধ্যে নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে নগরবাসীর কাছে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় রয়েছেন। একটি পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তার সকল পরিকল্পনায় রয়েছে নগরীর উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী রুচিশীল উন্নয়ন। এর পূর্বে এমন দুই গুরুত্ব্পূর্ন পদাধারীদের সমন্বয় চোখে পড়েনি। যা এবার রয়েছে। কাঁধে কাধ মিলিয়ে নগরবাসী সহ সদর আসনের বাসিন্দাদের জন্য কাজ করার প্রত্যয়ে নিয়ে একসাথে মাঠে নেমেছেন সাংসদ ও সিটি মেয়র। তাই অভাবনীয় উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাটা বা আশা কারাটা খুবই স্বাভাবিক বলে জানান বিভন্ন শ্রেনীর বাসিন্দারা। প্রায় তিন যুগ পড়ে এমন এক যুগলবন্দি পেয়েছেন বলে জানান তারা। নেতা-কর্মীদের অভ্যন্তরীন বিভেদ এই উন্নয়নকে পূর্বের ন্যায় পিছিয়েও ফেলতে পারবে না এই দুই জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধির মাঝে গড়ে উঠা ইস্পাত কঠিন সম্পর্ক।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস বরিশাল সদর আসন থেকে ১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯-৮০ সময়ে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার পাটমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮১-৮২ সালে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের পর তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য হন সাবেক সচিব মতিউর রহমান। তিনি ওই সময় জাতীয় পার্টি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালে ২০ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার জাতীয় সংসদের হুইপ হন। তবে তাদের আমলে দৃশ্যমান তেমন কোন উন্নয়ন ভাগ্যে জোটেনি। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাহিদ ফারুক। ওই নির্বাচনে মজিবর রহমান সরোয়ার ১ লাখ ৫ হাজার ভোট পেয়ে বিজয়ী ও জাহিদ ফারুক শামীম ৯৯ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ২০১৪ সালে জাহিদ ফারুক আর এ আসনে মনোনয়ন পাননি। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তাকে মহাজোটের মনোনয়ন দেওয়ার পর ২ লাখ ১৫ হাজার ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। অন্যদিকে মজিবর রহমান সরোয়ারকে রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তারুন্যর অহংকার সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT