3:41 pm , January 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সংসদ নির্বাচনের সময় বিভিন্ন মামলায় কারান্তরীন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মিরা জামিনে মুক্ত হচ্ছে। পুলিশসহ আ’লীগের নেতাদের মামলার আসামী হিসেবে এসব নেতা-কর্মিরা ১৫ দিন থেকে প্রায় ১ মাস কারাবরনের পর গতকাল বুধবার পর্যন্ত জামিনে জেলার প্রায় ৩ শত বিএনপি নেতা কর্মি ফিরেছে তাদের স্বজনের কাছে। নগরীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারান্তরীন হয়ে জামিনে মুক্ত হওয়া এসব নেতাকর্মিদের সিংহভাগের মানষিকতা পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর্যায়ে নেই। সিংহভাগদের মন্তব্য দলীয় অঙ্গ সংগঠনের পদ নিয়ে সক্রিয় হয়ে আরো মামলা ও গ্রেপ্তার আতংক নিয়ে থাকতে নারাজ তারা। একজন সাধারন সমর্থক হয়েই জীবনযাপন করার লক্ষ্য নিয়েছেন তারা। পদ-পদবিধারা কেউ কেউ সক্রিয় থাকার চিন্তা-ভাবনা করেছে। কিন্তু সেই সক্রিয় হওয়ার মাঝে দীর্ঘ বিরতি নেয়ার কথাও জানিয়েছেন। সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া বিএনপি নেতা কর্মিদের সাথে আলাপকালে তারা বলেছেন কারাবরনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পরিবার। দলের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের নাম মাত্র সহযোগিতাই কারান্তরীন নেতা-কর্মিদের পূনরায় সক্রিয় না হওয়ার কারন বলে মন্তব্য করেছেন তারা। দলীয় নেতা কর্মিরা এখন কতটা অসহায় কারাবরনের সময়ে তা হারে হারে টের পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে গত সোমবার ২৭ দিন কারাবাসের পর মুক্তি পাওয়া বিএম কলেজ ছাত্রদল নেতা বাবর খালেদ জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেবিশেষ ক্ষমতা আইনে বিএম কলেজ থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। তার সাথে বরিশাল জেল হাজতে মহানগর ও জেলা মিলিয়ে প্রায় হাজার নেতা কর্মি আটক ছিলো। এদের বেশিরভাগই ছিলো বিশেষ ক্ষমতা আইন, চাঁদাবাজি ও আওয়ামী লিগ এর দলীয় কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগ এর মামলায় গ্রেপ্তার। কারাবাসের এই ২৭ দিনে একজন ছাত্রদল কর্মি হিসেবে বাবর দেখেছেন নেতা কর্মিদের অসহায়ত্ব। তার তাছে ২৭ দিন কারাবাস ছিলো একটি দু.স্বপ্নের মতো। ধারন ক্ষমতার কয়েকগুন বেশি কয়েদি থাকায় বেশ ভোগান্তি হয়েছে তাদের। বরিশাল সিটির মধ্যের আটক ছিলো আড়াই শত’র মত নেতা কর্মিরা। তাদের বেশিরভাগই পরিবারের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছেন। মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার পক্ষ থেকে সামান্য এবং সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামাল কিছু টাকা দিয়েছেন। যার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগ করে বন্টন করা হয়েছে নেতাকর্মিদের মাঝে। এভাবেই কেটেছে তাদের কারাবাসের এই সময়টুকু। ১০ জানুয়ারির পর থেকে জামি ন দেয়া শুরু হয়েছে নেতাকর্মিদের। জামিনে মুক্তি পাওয়া একটি বর অংশ সাময়িক অথবা স্থায়ী ভাবে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে দিতে পারে বলে জানান এই ছাত্র নেতা। কারন প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করার মতো অবস্থা নিজের ও পরিবারের নেই। তবে ছাত্রদল নেতা হিসেবে টিকে থাকার লড়াইয়ে থাকবেন তিনি। কিন্তু সিংহভাগ সহযোদ্ধারা বিরতি দিয়ে কিংবা সমর্থক হিসেবে থাকার লক্ষ্য নিয়েছেন জানান এ নেতা।