3:29 pm , January 5, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দিনটি ছিলো ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর। রাত তখন প্রায় ১২ টা। প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ির আবর্জনা ফেলতে সদর রোডস্থ সিটি কলেজের পিছনে যায় বিসিসির সাবেক মেয়র পুত্র রুপমের বাড়ির গৃহপরিচারিকা। এ সময় হঠাৎ করেই শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে চমকে উঠে সে। পরে ভেসে আসা কান্নার শব্দের স্থান ঠিক করে কাছে গিয়ে সদ্যজাত শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখতে পায়। ওই সময় মেয়রপুত্র রুপমকে বিষয়টি জানালে তিনি ও তার ভায়রা ব্যবসায়ী সাংবাদিক একরামুল হুদা বাপ্পি তারা শিশুটিকে উদ্ধার করে নিজদের হেফাজতে রাখে। পরবর্তিতে আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে নিজেদের কাছে রাখে রুপম। রুপম রাজনীতি ও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে শিশুটির দেখাশুনা করে একরামুল হুদা বাপ্পি ও তার ডাক্তার স্ত্রী মার্জিয়া। তাদের সন্তান না থাকায় নিজের সন্তানের মতো করে শিশুটিকে লালন-পালন শুরু করে তারা এবং শিশুটির নাম রাখে আইশা। বর্তমানে সর্বোচ্চ সেবা ও সুযোগ সুবিধার মধ্যে শিশু আইশাকে পালন করছে তারা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা পেয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ ভাবে বড় হচ্ছে সে। স্বাভাবিক নিয়মে সম্পন্ন হচ্ছে টিকা প্রদান। এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে ওই দম্পতি বলেন, আমরা যখন আইশাকে টিকা কেন্দ্রে নিয়ে যাই, তখন আইশার অভিভাবকের নাম জিজ্ঞাসা করলে বলি ওর বাবার নাম একরামুল হুদা এবং মায়ের নাম ডাঃ মার্জিয়া মিরাজ। একরামুল হুদা আরো বলেন, আমার স্ত্রীর এখন দিন কাটে আইশার লালন-পালন এবং খেয়াল রেখে। ও কখন খাবে, ঘুমাবে, ঘুম ঠিক মতো হলো কিনা, শরীর খারাপ হলো কিনা সেই বিষয়ে সর্বোচ্চ খেয়াল নেয় সে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পোশাক ও খেলনা কিনে দেওয়া হয়েছে আইশার জন্য। শিশুটির প্রতি পরম মমতায় প্রতিবেশীসহ সর্বমহলের প্রশংসা পেয়েছেন ওই দম্পতি। সচেতন মহলের মতে, মানুষের মধ্যে এমন মানবতা! বজায় থাকলে আমাদের সমাজ আরো উন্নত হবে। থাকবে না কোনো বৈষম্য। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালতে তিন ব্যক্তি শিশুটির জিম্মাদার হতে চাইলেও আদালত পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্ত প্রদান স্থগিত রাখেন। তবে আয়েশা বর্তমানে ভালো আছেন বলে জানিয়েছে ঐএলাকার বাসিন্দারা।