2:59 pm , December 27, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বেসরকারী নভো এয়ার-এর কান্ডজ্ঞানহীন আচরনে ঢাকা-বরিশাল আকাশ পথে গতকাল প্রায় ৭৪ জন যাত্রী চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা নিয়ে বরিশাল বিমান বন্দরে অবতরন করেন নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘন্টা পরে। এর আগে নভো এয়ার-এর এটিআর উড়োজাহাজটি ঘন কুয়াশার কারনে বরিশাল বিমান বন্দরে অবতরনে ব্যার্থ হয়ে প্রায় কুড়ি মিনিট বিমান বন্দরের আশেপাশের আকাশে চক্কর দিতে থাকে। বারবারই উড়োজাহাজটি নিচে নামা আর ওপরে ওঠার কারনে উড়োজাহাজে থাকা শিশু ও মহিলা সহ প্রায় সব যাত্রীর মধ্যেই উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পরে। তবে ক্যাপ্টেন ও ফাস্ট অফিসার সহ বরিশাল বিমান বন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের কর্মকর্তাদের চরম ধৈর্য এবং বিচক্ষনতার পাশাপাশি সদ্য স্থাপিত রানওয়ে লাইটের কারনে শেষ পর্যন্ত বিকেল ৫টায় নভো এয়ারের ফ্লাইটটি বরিশাল বিমান বন্দরের রানওয়েতে নিরাপদে অবতরনে সক্ষম হয়।
ঘন কুয়াশার সাথে অকাল বৃষ্টিপাতে গতকাল দিনভরই দক্ষিণাঞ্চলে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে নভো এয়ার-এর দুপুর ২ টা ৫০ মিনিটে বরিশালের ফ্লাইট ঢাকা থেকে রওয়ানা হয় বিকেল ৪টার কিছু পরে। নিয়মনুযায়ী বিকেল সাড়ে ৪ টার পরেই ঐ ফ্লাইট বরিশালে অবতরনের কথা। কিন্তু বরিশাল বিমান বন্দরের আশেপাশের এলাকা ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল। ঢাকায় হজরত শাহ জালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের অভ্যন্তরীন টার্মিনালে বরিশালের যাত্রীরা বারবারই ফ্লাইট ছাড়ার সময় জানতে নভো এয়ারের কাউন্টারে যোগাযোগ করছিল । কিন্তু দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের ফ্লাইট প্রথমে বিকেল সোয়া ৩টায়, পরে সাড়ে ৩টায় ছাড়ার কথা বলা হলেও তা ছাড়ে বিকেল ৪টারও পরে। এমনকি বরিশালের ফ্লাইটের যাত্রীদের উড়োজাহাজে তোলার মত বাস না থাকার কারনেও ফ্লাইটটি বিলম্বিত হয় বলে একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেছেন। যাত্রীরা বরিশালে কুয়াশা সহ রানওয়েতে আলোর স্বল্পতার কথাও বার বার নভো এয়ারের কাউন্টারে জানানোর পরেও তারা তা আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এভাবে প্রায় এক ঘন্টা ১৫ মিনিট বিলম্বে ঢাকা থেকে ফ্লাইট ছাড়লেও ঘন কুয়াশার সাথে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় পাইলট বরিশালে কাছাকাছি পৌছে বিমান বন্দরের রানওয়ে দেখতে না পাওয়ায় চরম বিপাকে পরেন। দুইবার বিমান বন্দরের আশেপাশের এলাকায় চক্কর দেয়ার পরে তৃতীয় দফায় দক্ষিন প্রান্ত দিয়ে উড়োজাহাজটি অবতরনে সক্ষম হন পাইলট।
তবে রানওয়ের উভয় প্রান্তে পাপি লাইটের পাশপাশি সদ্য স্থাপিত রানওয়ে লাইট প্রজ্জলন করায় অবতরনে যথেষ্ঠ সুবিধা হয়েছে বলে জানা গেছে। অতি সম্প্রতি বরিশাল বিমান বন্দরে রানওয়ে লাইট স্থাপনের কাজ আংশিক সম্পন্ন হলেও তা এখনো সিভিল এ্যভিয়েশন অথরিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
এব্যাপারে নভোএয়ার-এর স্থানীয় ও ঢাকা অফিসে সেল ফোনে যোগাযোগ করে কাউকে পাওয়া যায়নি।