2:41 pm , December 20, 2019

শাকিল মাহমুদ বাচ্চু, উজিরপুর ॥ উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসানের হস্তক্ষেপে পরিচয়হীন দুই মাস বয়সী শিশু ছেলে বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। শিশুটির আসল পরিচয় নিয়ে নানা গুঞ্জনও রয়েছে। উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দত্তেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটি বিক্রি করে দেয়ার পূর্ব মুহুর্তে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্যর জিম্মায় দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের দিনমজুর শহিদুল ইসলাম খানের স্ত্রী বকুলী বেগম প্রায় এক মাস ধরে শিশু ছেলেকে লালন পালন করে। পরিচয়হীন ওই নবজাতক ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ভীড় করে ওই নারীর বাড়িতে। বৃহস্পতিবার শিশুকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রির কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। বিষয়টি উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানতে পারেন। তখন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিক্রয় প্রক্রিয়া বন্ধ করেন। এছাড়াও নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। বকুল বেগম পুলিশকে জানিয়েছে, তার ভগ্নিপতি ফারুক হোসেন শেবাচিম হাসপাতাল থেকে নলছিটি উপজেলার মগরা গ্রামের মৃত শরিয়ত খানের ছেলে জামাল খানের কাছ থেকে শিশুটিতে দত্তক এনেছে। বোন (ফারুকের স্ত্রী) বর্তমানে প্রবাসে রয়েছে। তাই শিশুকে লালন পালন করার জন্য দিয়েছে। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছে, ওই নবজাতক শিশুকে বকুলী বেগমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ক্রয় করতে চেয়েছিল একাধিক লোক। উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে ওই এলাকার ইউপি সদস্য নুরুল হক সরদারের জিম্মায় রাখা হয়েছে। শিশুর প্রকৃত বাবা-মায়ের খোঁজ শুরু করা হয়েছে। তাদের পেলে শিশুকে হস্তান্তর করা হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।