2:03 pm , December 19, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপত্রায় বিপর্যস্ত দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন। তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচে নামার সাথে উত্তর ও উত্তর-পূর্বের হিমেল হাওয়ায় কৃষি এবং জনস্বাস্থ্যে ঝুকি বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাপমাত্রার পারদ ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে ছিল। অথচ ডিসেম্বরে বরিশালে স্বাভাবিক সর্বনি¤œ তাপমাত্রা থাকার কথা ১৩.৩ ডিগ্রি। এর সাথে মেঘলা আকাশ শীতের অনুভুতি আরো বৃদ্ধি করছে। গতকাল আকাশে সূর্য উকি মারে সকাল ১০টারও পরে। তবে দিনভরই মেঘ আর সূর্যোর লুকোচুরি খেলা অব্যাহত থাকার সাথে হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে দূর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। এর সাথে হালকা থেকে মাঝারী কুয়াশায় সড়ক এবং নৌ যোগাযোগের জন্য ঝুকি বৃদ্ধির সাথে রবি ফসলের উৎপাদন ও গুনগত মান ক্ষতিগ্রস্থ হবারও আশংকা বাড়ছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। দক্ষিণাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকায় রাতের তাপমাত্রা আরো সামান্য কিছুটা হ্রাসের সাথে দক্ষিণÑপমিশ্চমাঞ্চলে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহ দক্ষিণাঞ্চলেও বিস্তৃতি লাভের আশংকার কথা জানা গেছে।
এদিকে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের নিচে নেমে যাওয়ায় বোরো বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি এ শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকলে ফুলকপি, বাঁধাকপি, গোল আলু ও শালগম সহ বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজির গুনগত মান যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হবারও আশংকা সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষিবিদগন। প্রতিদিন সকালে বোরো বীজতলাতে লাঠি দিয়ে চাড়ার গায়ে জমে থাকা শিশির ছাড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিবিদগন। তবে এ শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকলে জনস্বাস্থেও যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে। বিশেষকরে শিশু ও বয়স্কদের এ সময়ে পরিপূর্ণভাবে সাবধানতার সাথে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগন। নিউমোনিয়া ও টাইফয়েড ছাড়াও ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ এ সময়ে বৃদ্ধির আশংকা থাকে বলে জানিয়ে শিশু ও বয়স্কদের যথাযথ শীতবস্ত্র ব্যবহারেরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ঠান্ডা পানিতে গোসল সাময়িকভাবে পরিহারেরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে চিকিৎসকদেও তরফ থেকে।