2:43 pm , December 14, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাকেরগঞ্জে ধর্ষণের পরে অন্তঃসত্ত্বা ১২ বছরের শিশু শিক্ষার্থী জন্ম দিয়েছে কন্যা সন্তান। গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ভুমিষ্ট হয়েছে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্রীর কন্যা। চিকিৎসক জানিয়েছে, ‘শিশু এবং তার সদ্য ভূমিষ্ট কন্যা দু’জনেই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শিশুটিকে নবজাতক ওয়ার্ডে নিবির পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এছাড়া তার শিশু মাকে পোস্ট অপারেটিভ বিভাগে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসা এবং যতেœর বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এর আগে বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান শেবাচিম হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা শিশুটির সঙ্গে দেখা করতে যান। এসময় তিনি তার চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় আইনগত সহায়তার আশ^াস দেন।
এছাড়া বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ শিশুটির চিকিৎসা সহায়তার জন্য ৫০ হাজার এবং শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন আরো ১০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভোজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১২) প্রথমে স্কুলের কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রধান শিক্ষক। এ সময় বাইরে দাড়িয়ে পাহারা দেয় অপর এক শিক্ষক। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর দুই প্রতিবেশী শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। তবে এই ঘটনায় একটি মামলা হলেও প্রধান শিক্ষক সহ অন্য ধর্ষকদের আসামি করা হয়নি। পুলিশও জুয়েল নামের এক প্রতিবেশীকে অভিযুক্ত করে আদালতে দায়সারাভাবে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
সর্বশেষ গত ১০ ডিসেম্বর শিশুটির প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে শেবাচিম হাসপাতালের গাইনী বিভাগের প্রসুতী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ওই ঘটনা নিয়ে ভোজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও শিক্ষিকা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল শনিবার বিএমএসএফ’র বাকেরগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবী করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবী করেছেন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমাকে সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করাসহ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।