চরফ্যাসনে ঘুষ দিতে না পারায় নারী নির্যাতন মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল চরফ্যাসনে ঘুষ দিতে না পারায় নারী নির্যাতন মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল - ajkerparibartan.com
চরফ্যাসনে ঘুষ দিতে না পারায় নারী নির্যাতন মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল

2:26 pm , December 8, 2019

চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ পুলিশকে টাকা দিতে না পারায় যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে শশীভূষণ থানায় দায়েকৃত মামলা ‘মিথ্যা’আখ্যা দিয়ে চুড়ান্ত প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে প্রেরণ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। শশীভূষণ থানার ওসি তদন্ত ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবুল হাসান খানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন মামলার বাদি ও ভিক্টিম মোসা. সারমিন। বাদি সারমিন শশীভূষণ থানার পশ্চিম এওয়াজপুর গ্রামের মো. মঞ্জুর স্ত্রী।
বাদি সারমিন অভিযোগ করেন, ৪ বছর আগে পশ্চিম এওয়াজপুর গ্রামের মুনাফ জমাদারের ছেলে মঞ্জুর সাথে সারমিনের বিয়ে হয়। তাদের একটি মেয়ে সন্তান আছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামী-শ্বশুড় পরিবার সারমিনের পরিবারের কাছে ব্যবসা করার জন্য ২ লাখ টাকা চেয়ে আসছে। এই টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সংসারে অশান্তি শুরু হয়। নিত্য অশান্তির ধারাবাহিকতায় গত ১২ অক্টোবর রাতে স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা সারমিনকে মারধর করে। পরদিন খবর পেয়ে বাবা নুর মোহাম্মদ হাওলাদার মেয়েকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় সারমিন বাদি হয়ে ২৯ অক্টোবর স্বামীসহ ৪ জনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী মঞ্জুকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। দেড় মাস জেলে থাকার পর মঞ্জু জামিনে মক্তি পেয়ে মামলা তুলে নিতে সারমিনকে হুমকী ধামকী দিতে শুরু করেন।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শশীভূষণ থানার ওসি তদন্ত আবুল হাসান খান মামলার চার্জশীট প্রদানের জন্য বাদির কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করেন। অসহায় বাদি ওই টাকা দিতে না পারায় আসামীদের সাথে অনৈতিক লেনদেনে প্রভাবিত হয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি ‘মিথ্যা’আখ্যা দিয়ে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের অনুমোতি চেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে প্রেরন করেছেন। গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মামলার অগ্রগতি জানতে থানায় গিয়ে বাদি জানতে পান, মামলাটি ম্যিথা প্রমাণিত হওয়ায় চুড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য অনুমতি চেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ওসি তদন্ত আবুল হাসান খান জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ ছিল। তদন্তে বিরোধ থাকার বিষয় প্রমাণিত হলেও মারধরের বিষয় প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই মামলাটি চুড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে বাদির দাবী অনুযায়ী টাকা চাওয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। শশীভূষণ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেছেন, প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে মামলাটি এজাহার নেয়া হয়েছিল। গ্রেফতার করে আসামীকেও জেলে পাঠানো হয়েছে। ফলে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণের কোন সুযোগ নেই। বাদিনীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT