2:22 pm , December 8, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাজনীতিতে মাত্র ৩ বছরের পথচলা। গত বছরের অক্টোবরে মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। এতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন তিনি। এর পর সফলতার নানা গল্প। হয়েছেন সিটি মেয়র। গতকাল রোববার নির্বাচিত হলেন নগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক।
মহানগর আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে ভাটির টান পরেছিলো ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে। তৎকালীন নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি সর্বজনপ্রিয় নেতা শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুর মধ্য
দিয়ে। দলটিকে নেতৃত্ব দিয়ে ভারসাম্যের রাজনীতি চলমান রাখতে যোগ্য নেতার সন্ধান ছিলো না কোন প্রান্তে। দলটির সেই ক্রান্তি লগ্নে আশাহত নেতাদের পাশে আলোক বর্তিকা নিয়ে প্রত্যাবর্তন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র। শুধু মাত্র কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ছাড়া ভারী দ্বিতীয় কোন পরিচয় বা পদবী ছিলো না তার। সেরনিয়াবাত পরিবারের সন্তান আর জাতির জনকের আর্দশ বুকে ধারন ও লালন করে নগর আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করার মানসে নগরীতে পা রাখেন তিনি। নেমে পড়েন দল গোছাতে। দিন রাত পরিশ্রম করে নেতাকর্মীদের সুসংগত ও ঝিমিয়ে পড়া মনোবল দৃঢ় করতে নিরলস চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। কাজটি দুঃসাধ্য ও কঠিনতর হলেও আতœবিশ^াস ছিলো, সফলতা তাকে একদিন ধরা দিবেই। হয়েছেও ঠিক তাই। তার কঠোর অধ্যবসায়ের কাছে হার মেনেছে সকল প্রতিকূলতা। সফলতা নামক শব্দটি ধরা দিতে থাকে একে একে। গতকাল এমনই আরো একটি সফলতার গল্প রচিত হলো। পরিশ্রমের ফসল হিসাবে সেই নগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের পদে আসীন করা হলো তাকে। শুধু পদ দিয়েই যেন তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না সম্মেলনে আসা কেন্দ্রীয় নেতারা। সবার মুখেই ছিলো যুবরতœ এই নেতার আকাশচুম্বী প্রশংসা। সম্মেলনের আয়োজনে অভিভুত হয়ে দলটির বর্ষীয়ান নেতা সম্মেলনের উদ্বোধক আমির হোসেন আমু বলেন, এটা শুধু সাদিকের দ্বারা সম্ভব। সাধারনত দলের যে কোন সম্মেলনে এ ধরনের আকর্ষনীয় ও চমকীয় আয়োজন চোখে পড়ে না। সম্মেলনের প্রধান অতিথি দলটির সাধারন সম্পাদক বলেন, সাদিক বরিশাল আওয়ামীলীগের অহংকার। এখানের নেতাকর্মীরা ভাগ্যবান যে সাদিকের মত একজন নেতা পেয়েছে। দলের নেতাদের উচিত সাদিক কে অনুসরন করা। সাদিকের হাত ধরে বরিশাল আওয়ামীলীগ একটি আর্দশ ও সুসংগত দলে পরিনত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতাদের ভাষ্য ছিলো সাদিকের তুলনা সাদিক নিজেই।