3:08 pm , December 3, 2019
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদী বন্দরে গভীর রাতে ফিল্মী ষ্টাইলে ৪টি দোকানে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাগেছে, গত সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাতদল বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করে বন্দরের পাহারাদারদের হাত-পা ও মুখ বেধে একটি দোকানের তালা ভেঙ্গে তার ভীতরে আটকে রেখে ডাকাতি শুরু করে। ডাকাতদের শব্দ পেয়ে যারাই বের হয়েছে তাদেরকেও একই ভাবে বেধে রেখে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। এসময় ডাকাতরা মোট চারটি দোকানে ডাকাতি করে যার মধ্যে বনশ্রী জুয়েলার্স, রিতা জুয়েলার্স, জননী জুয়েলার্স তিনটি স্বর্নের দোকান ও রহমত ষ্টোর পাইকারী মুদি দোকান। টহল পুলিশের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌছলে ডাকাতদল তাদের লক্ষ করে বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। ধারনা করা হচ্ছে ডাকাত দলটি স্পিডবোড যোগে পালিয়ে গেছে। ডাকাতি হওয়া দোকান মালিকরা জানান, তাদের প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মালামাল ডাকাতরা নিয়ে গেছে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে বরিশাল পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হক, মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জ ফয়েজ আহম্মেদ ও থানা তদন্ত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুলাদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তারিকুল হাসান খান মিঠু, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ ও বন্দর ব্যবসায়ী ইমরুজ্জামান রেজিন সহ বন্দরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এদিকে বেলা ১২.৩০ মনিটে মুলাদী পৌরসভার সামনে মুলাদী বন্দর ব্যবসায়ীদের নিয়ে জরুরী সভা ডেকেছেন মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জ ফয়েজ আহম্মেদ। এতে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হক। ঐতিহ্যবাহী মুলাদী বন্দরে কোন রকম সি.সি ক্যামেরা না থাকায় বন্দর কমিটির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সচেতন মহল।