অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ - ajkerparibartan.com
অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

2:48 pm , November 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জুনিয়র স্কুল সাটিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার্র্থী মইন খন্দকারকে (১৪) ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন নগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক। ইয়াবা উদ্ধার ও আটকের বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও না জানানোরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাতে নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ইছাকাঠী খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে থেকে স্কুলছাত্র মইনকে আটক করে এসআই এনামুল। গতকাল শনিবার তাকে ১৪ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত মইনকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মইনের পিতা সাইদুল হক হিরণ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মইন বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের পাশে বসেছিল। এসময় সাদাপোশাকে দুজন এসে মইনকে জাপটে ধরে। তার চিৎকারে তিনিসহ (হিরণ) আশপাশের লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে এলে সাদা পোশাকধারীরা দাবী করেন, মইন ইয়াবা বিক্রি করে। সে যেখানে বসা ছিল তার পাশে ইয়াবা পাওয়া গেছে।
হিরণ জানান, মইনের হাতে থাকা মুঠোফোনটি পুলিশের হাতে নেয়ার পরই ০১৩১৩-৯১৯১২০ নম্বর থেকে কল এসে ক্রেতা সেজে ইয়াবা চাওয়া হয়। হিরণের অভিযোগ, পুরো ঘটনাটিই সাজানো। একই বাড়ির নুরু মিয়ার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তার মামলা মোকাদ্দমা চলছে। নুরুর ছেলে হাসান চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিকবার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে। তার যোগাসাজসে পুলিশ ব্যবহার করে মইনকে ফাঁসানো হয়েছে।
২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার জসিম উদ্দিন জানান, ইয়াবা উদ্ধারের খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তখন এসআই এনামুল তিনিসহ উপস্থিত অন্যান্যদের ইয়াবা দেখাতে পারেননি। কিশোর মইনকে থানায় নেয়ার পর ইয়াবা উদ্ধারের কথা বলা হচ্ছে।
২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তিনি মইন ও তার পরিবারকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
মাষ্টার জসিম উদ্দিন ও কাউন্সিলর ফরিদ আহম্মেদ জানান, নীরিহ এক কিশোরকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর বিষয়টি উপ কমিশনার (উত্তর) মোকতার হোসেনের সঙ্গে শনিবার দুপুরে সাক্ষাত করে তাকে জানানো হয়েছে। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে এসআই এনামুল হক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মইনের সঙ্গেই ইয়াবা পাওয়া গেছে। তিনি উপস্থিত সকলকে ইয়াবা দেখিয়েছেন এবং তাৎক্ষনিক ওয়ারলেসে ম্যাসেজ দিয়েছেন। বিষয়টি গোপন করা হয়নি।
উপ কমিশনার মোকতার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ফাঁসানোর অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। একজন সহকারী কমিশনারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT